সাজা শেষে জেলে রাখা যাবে না রোহিঙ্গাদের, রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট

  • বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজা হয়েছিল ৪ রোহিঙ্গার 
  • তাদের সাজার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে বছরখানেক আগে  
  •  তাই সাজা শেষে জেলে রাখা যাবে না রোহিঙ্গাদের, রায় কোর্টের 
  • আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে 

Asianet News Bangla | Published : Feb 12, 2020 9:51 AM IST / Updated: Feb 12 2020, 03:34 PM IST


 অনুপ্রবেশের দায়ে সাজা হয়েছিল ৪ রোহিঙ্গার। তাদের সাজার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে বছরখানেক আগে। অথচ এখনও তারা জেলে বন্দী রয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কোনোভাবেই আর জেলে বন্দী রাখা যাবে না রোহিঙ্গাদের। তাই প্রশ্ন উঠেছে এই রোহিঙ্গারা তবে থাকবে কোথায়। এর ফলে তাদের নিয়ে বিকল্প পথের সন্ধান করতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্যকে। 

আরও পড়ুন, বৃহস্পতিবার থেকে চালু হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম

২০১৬ সালের শেষ দিকে এক মহিলা সহ ৪ জন রোহিঙ্গাকে হাওড়া স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। হাওড়া জিআরপি জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, তাদের কাছে এদেশে আসার কোনো বৈধ ডকুমেন্ট নেই৷ বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশের জন্য জিআরপি তাদের গ্রেফতার করে। ২০১৭ সালের মে মাসে হাওড়া আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে। দেড় বছরের কারাবাস হয় তাদের। দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দী রয়েছেন তাঁরা। এদিকে দেড় বছর সাজা খাটা হয়ে গেলেও জেলের চার দেওয়াল থেকে মুক্তি মেলেনি তাদের। তাদের মুক্তির জন্য একটি সংগঠন ২০১৮ সালের শেষ দিকে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে । সংগঠনের তরফে আইনজীবী বলেন, সাজার মেয়াদ শেষের পর কাউকে জেলে আটকে রাখা বেআইনি। কেন্দ্র ও রাজ্য একাধিকবার এর আগে তাদের দেশে ফেরানোর কথা বলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি।

আরও পড়ুন, সিঁথিকাণ্ডে নতুন মোড়, সিআইডি তদন্তের দাবি জানাল মৃতের পরিবার

প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী রাখা যাবে না ওই রোহিঙ্গাদের। বন্দি প্রত্যর্পণ করা না গেলে প্রয়োজনে নিজেদের নজরদারিতে রাষ্ট্র তাদের যেকোনো জায়গায় রাখতে পারবে৷ কিন্তু কোনোওভাবেই তাদের আর জেলে রাখা যাবে না।  এদিকে, সাজা ফুরোলেও জেলে আটকে থেকে ওই চার রোহিঙ্গার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে৷ ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিন আদালত কী রায় দেয় এখন সেটাই দেখার।

Share this article
click me!