করোনা আক্রান্ত এলসিপিসি-র মুখ্য় আধিকারিক, বন্ধ করা হল এসবিআই কলকাতার সদর দফতরের সমৃদ্ধি ভবনের একাংশ

 

  •  করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন এলসিপিসি-র মুখ্য় আধিকারিক 
  •  যার জন্য় সদর দফতরের সমৃদ্ধি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে করোনা আতঙ্ক  
  • সদর দফতরকে আপাতত সিল করার দাবি জানিয়েছিলেন বহু কর্মী 
  • এবার তাই বন্ধ করে দেওয়া হল এসবিআই কলকাতার সদর দফতরের সমৃদ্ধি ভবনের একাংশ 

Ritam Talukder | Published : May 8, 2020 1:03 PM IST / Updated: May 08 2020, 06:36 PM IST

 করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন এলসিপিসি-র মুখ্য় আধিকারিক। তাই করোনা সংক্রমণ রুখতে  বন্ধ করে দেওয়া হল এসবিআই কলকাতার সদর দফতরের সমৃদ্ধি ভবনের একাংশ।  আগামী ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই অফিস। এলসিপিসি-এর ওই মুখ্য় আধিকারিক বর্তমানে তিনি ডিসান হাসপাতালে ভর্তি আছেন।   

আরও পড়ুন, 'যোদ্ধারা সমরে-করোনা দূরে', ফের সচেতনতামূলক পথচিত্র আঁকল বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী

কলকাতা তপসিয়ার বাসিন্দা ব্যাঙ্কের এই শীর্ষ আধিকারিক সম্প্রতি বদলি হয়ে কলকাতায় আসেন। মঙ্গলবার তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও এই শীর্ষ আধিকারিক করোনা পজিটিভ হওয়া নিয়ে উঠতে শুরু করেছিল বহু প্রশ্ন। করোনা আক্রন্তের হদিশ মেলার পরেও এলসিপিসি দফতরে কাজ চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে এই সব ব্য়ঙ্ক কর্মীরা ১৪ দিনের জন্য় বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাদের দাবি, এলসিপিসি দফতরের সঙ্গেই জুড়ে আছে সমৃদ্ধি ভবন। এলসিপিসি দফতর থেকে একাধিক কর্মী অফিসিয়াল প্রয়োজনেই সমৃদ্ধি ভবনের মূল করিডোরে যাতয়াত করছেন। এলসিপিসি দফতরের এই মুখ্য় আধিকারিকের সংস্পর্শে  ঠিক কত জন এসেছেন, সেই সংখ্য়াটার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। স্বভাবতই সমৃদ্ধি ভবনে কাজ করা বহু কর্মী, সদর দফতরকে আপাতত সিল করার দাবি জানিয়েছেন। আর এবার তাই করোনা সংক্রমণ যাতে আরও না ছড়িয়ে পড়ে তাই আগামী ১১ মে পর্যন্ত  বন্ধ করে দেওয়া হল এসবিআই কলকাতার সদর দফতরের সমৃদ্ধি ভবনের একাংশ। ঘটনাটি জানার পরই পুরো অফিসটি জীবাণুমুক্তকরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, 'সন্তানের দুধ কেনার টাকা নেই-খুব কষ্টে আছি আমরা', মাসিক বেতন দেওয়ার অনুরোধ জানাল বিগবাজারের এক স্টাফ

প্রসঙ্গত, লকডাউনের বাজারে  দফতরের কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন ওই শীর্ষ আধিকারিক। পরিবারের দাবি,  এলসিপিসি-এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এই আধিকারিক নিজের কাজ নিয়ে বরাবর আবেগ তাড়িত ছিলেন। তাই তিনি কোনওভাবেই অফিস কামাই করতে চাননি। দিনকয়েক ধরেই সর্দি-কাশি এবং জ্বর শুরু হয়। জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকে। এরপরেই করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। করোনা আক্রান্ত ব্য়াঙ্ক আধিকারিকের দাবি,  করোনা ভাইরাস কীভাবে শরীরে প্রবেশ করেছে, সে সম্পর্কে তাঁরা কোনও সম্য়ক ধারণা পোষণ করতে পারছেন না। আপাতত ওই ব্য়ঙ্ক আধিকারিকের পরিবার কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।   

 

 

বেহালা হাসপাতালের প্রসুতির শরীরে মিলল এবার করোনার জীবাণু, কেপিসি-র ৩ রোগীর রিপোর্টও পজিটিভ

রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি কলকাতার,৭০০ থেকে একদিনে ৭৫৪

করোনার থাবায় বন্ধ বাঘাযতীনের এক নার্সিংহোম, স্যানিটাইজেশনে বাঘাযতীন হাসপাতাল

করোনা উপসর্গ সহ মিজোরামের বাসিন্দার মৃত্য়ু হল কলকাতায়, ক্যানসারের জন্য় তিনি ছিলেন চিকিৎসাধীন

রোগী ফেলে পালাতে পারল না অ্যাম্বুল্যান্স, পিপিই পরা স্বাস্থ্য়কর্মীদেরকে তীব্র প্রতিবাদ নাকতলাবাসীর

Share this article
click me!