কোভিড সংক্রমণ এবার কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশেও, আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরাও। যার জেরে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ একাধিক থানার সামনে গার্ড রেল টেনে দেওয়া হয়েছে।
কোভিড সংক্রমণ এবার কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশেও ( Several officers of Kolkata Police ) । আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরাও ( Several officers of CBI)। যার জেরে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ একাধিক থানার সামনে গার্ড রেল টেনে দেওয়া হয়েছে। থানার ভিতরে খুব প্রয়োজন না হলে প্রবেশের অনুমতি নেই। কারণ পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই এভাবেই থানা সামলাচ্ছেন আক্রান্ত না হওয়া পুলিশ আধিকারিকরা। তবে সিবিআই দফতরে নিজাম প্যালেসে আরও স্পর্শকাতর অবস্থা। সেখানেও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্য়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। তিনি এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এবং আরও ৬ জন বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশ কর্মীও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন রয়েছেন হাসপাতালে। ভবানীপুর থানায় ২৪ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। থানার সামনে গার্ড রেল টেনে দেওয়া হয়েছে। থানায় যারা আসছেন, তাঁদের লাইন দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। একজন অভিযোগ দায়ের করার পরেই অপরজনের সুযোগ মিলছে। পাশপাশি ইতিমধ্য়েই জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার একজন আইপিএস কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুলিশ সবমিলিয়ে ৯ জন আইপিএস অফিসার কোভিড পজিটিভ। এবং কলকাতা পুলিশে মোট কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১২২ জন।
অপরদিকে, কোভিডের জেরে রীতিমতো উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায়। ওয়ার্ক ফর্মে হোম চালু করল এনফোর্সমেন্টব্রাঞ্চ ডিরেক্টোরেট। এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস এবং সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স মিলিয়ে মোট ১৩ জন অফিসার আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চিটফান্ড তদন্ত, ব্য়াঙ্ক জালিয়াতি, দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা। এই মুহূর্তে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে কাজ। বাকিরা থাকবেন কোয়ারেন্টিনে। সিবিআইয়ের দুটি দফতরেই স্যানিটাইজেশন করা হবে।
বুধবারের স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে, ১৪ হাজার ২২ জন। স্বাভাবিকভাবেই গত বছরের তুলনায় আচমকাই বিরাট সংখ্যার ব্যবধানে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেছেন, করোনা বাড়ছে অস্বীকার করে লাভ নেই। উৎসবের ফলে করোনা গ্রাফ উর্দ্ধমুখী হয়েছে। ৩১ থেকে ১ তারিখের প্রভাব বাড়বে। কিন্তু এই গ্রাফ খুব একটা বাড়বে না। ৮ তারিখ পর করোনা গ্রাফ নিচের দিকে যাবে বলে আশাবাদী মেয়র পারিষদ ( স্বাস্থ্য ) অতীন ঘোষ। তিনি এদিন জানান যে করোনার সংখ্যা বাড়লে কনটেন্টমেন্ট জোন আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন বাড়াতে পারে বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে রাাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও।