রাজ্য কার্যত লকডাউনে ফের সংক্রমণ অনেকটাই কাবু। বেড়েছে সুস্থতার হার। এই পরিস্থিতিতে ১৫ জুনের পরে নিয়ন্ত্রন বিধি নিয়ে রাজ্য প্রশাসন কী সিন্ধান্ত নেবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে সমাজের ভিন্ন স্তরে। প্রশাসনের খবর, এ বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে রাজ্য সরকার।
রাজ্যে একুশের নির্বাচনের দামামা বাজতেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল কোভিড সংক্রমণ। বাংলায় ভোট শুরু মুহূর্তে যেখানে প্রতিদিন বাংলায় আক্রান্তে সংখ্যা ১ হাজারের ভিতরের ঘোরাঘুরি করতে, সেখানে ভোট শেষ হওয়ার পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজারের উপরে। তাই একুশের বিধানসভা বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বিজয় মিছিল না করে কোভিডে লাগাম টানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাতারাতি ১৬ মে থেকে কড়া বিধিনিষেধে বেড়া জালে নিয়ে আসা হয় বাংলাকে। প্রথমে নবান্নের নির্দেশ ছিল কার্যত লকডাউন চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। কিন্তু বাংলার ভয়াবহ পরিস্থিতির জেরে সেই বিধিনিষেধের সময়সীমা ১৫ জুন অবধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এপ্রিল মাস পড়তেই রাজ্য কার্যত লকডাউনে ফের সংক্রমণ অনেকটাই কাবু। বেড়েছে সুস্থতার হার। শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,রাজ্যে একদিনে মৃত ৮১ জন এবং সংক্রমণ ৪ হাজার ২৮৬ জন। এই পরিস্থিতিতে ১৫ জুনের পরে নিয়ন্ত্রন বিধি নিয়ে রাজ্য প্রশাসন কী সিন্ধান্ত নেবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে সমাজের ভিন্ন স্তরে। প্রশাসনের খবর, এ বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে রাজ্য সরকার।
আরও দেখুন, পেট্রোল-ডিজেলের দামে সেঞ্চুরি হাঁকাবে কি কলকাতা, মূল্যবৃদ্ধিতে মাথায় হাত শহরবাসীর
রাজ্যের অভিজ্ঞ আমলাদের একাংশের অনুমান, অতি প্রয়োজনীয় এবং প্রয়োজনীয় গতিবিধিতে ছাড় কিছুটা বাড়িয়ে তুলনায় কম জরুরি কাজগুলিতে নিয়ন্ত্রণ আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে পারে রাজ্য। প্রসঙ্গত, বণিকসভা এবং বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে গত বৈঠকে কয়েকটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মধ্যে হোটেল-রেস্তোরা বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা অবধি খোলা থাকতে পারে। শপিংমলগুলিও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেই চালুর ব্যপারে ভাবনাচিন্তা রয়েছে। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল নতুন করে ৩৩ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন চালু করেছে। মূলত শিয়ালদহ, হাওড়া এবং কলকাতা স্টেশন থেকে ওই সব ট্রেন চলবে। তবে শহরতলির লোকাল ট্রেন কবে চলবে, এনিয়ে মূলত রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করবে। মেট্রোর ক্ষেত্রেও রাজ্যের সিদ্ধান্ত মেনে চলা হবে বলেই রেল সূত্রে খবর।