রাজ্যবাসীর মুখে মুখে এখন একটাই কথা। তা হল কাটমানি। নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি কাণ্ডে মুখ খাোলার পর থেকে যেন ঝড় বয়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। কখনও বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও, কখনও বাড়ি ভাঙচুর বা সালিশি সভা, প্রতিদিন নতুন নতুন নাটক দেখছে রাজ্যবাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে অভিযোগ জানানোর জন্যে অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখাও তৈরি করেছেন নবান্নে। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি তৈরি করলেন নতুন পদ।
সূত্রের খবর রাজ্য সরকার কাটমানি কাণ্ডে প্ৰশাসনিক সক্রিয়তা বাড়াতেই এই পদ সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে পদে বসানো হচ্ছে ইকোনোমিক অফেন্স উইং-এর ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছে তন্ময় রায়চৌধুরীকে।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি অভিযোগ এলেই এফআইআর, ৪০৯ ধারায় মামলা, বার্তা গেল প্রতিটি থানায়
প্রসঙ্গত ভাটপাড়া কাণ্ডে গত ২০ জুন রাতারাতি সরানো হয় তন্ময় রায়চৌধুরীকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে সিআইডি-র ডিআইজি করে নিয়ে আসা হয়। পাঁচদিনের মাথায় তাকেই আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখায় নিয়ে আসা হল।
গত সোমবারই ডিজি জ্ঞানবন্ত সিংহ জানিয়েছিলেন কাটমানি রুখতে ৪০৯ ধারায় মামলা রুজু করতে হবে পুলিশকে। এই মামলায় হার হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয় সমস্ত থানাগুলিকে। এর পরেই এই প্রশাসনিক রদবদল। বোঝা যাচ্ছে কাটমানি বিষয়ে ভাবমূর্তি রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী খড়্গহস্ত। বিরোধিরা ফুট কাটছেন, কেউ বলছেন পুরোটাই ভাঁওতা। বিজেপি বিপুল প্রচার করছে কাটমানি ইস্যুকে হাতিয়ার করে। ইতিমধ্যে বীরভূমের কয়েকজন কাটমানির টাকাও ফেরত পেয়েছেন।
এদিন কাটমানি নিয়ে উত্তাল হয় বিধানসভাও। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী বিলক্ষণ জানেন জনতা জনার্দনের মন ফিরলে স্থায়ী লাভ তাঁর। ২০২১ তো খুব দূরেও নয়।