শহর কলকাতায় কমেছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। যদিও কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে কনটেইনমন্টে জোনের সংখ্যা কমে এলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে আবাসনগুলি। ,এনিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসছে পুরসভা।
শহর কলকাতায় কমেছে কনটেইনমেন্ট জোনের (Containment Zones)সংখ্যা। উল্লেখ্য নতুন বছর পড়তেই আচমকাই কোভিডের সংক্রমণ লাগামছাড়াভাবে ছড়িয়ে পড়ে সারা রাজ্যে। তবে তার মধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হয় কলকাতা। বাধ্য হয়ে পুরসভা, কলকাতায় একাধিক কনটেইনমেন্ট ঘোষণা করে। কারণ টানা লকডাউন করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বলে দাবি মমতার। তাই মানুষের রুজি-রোজগারে বাধা না দিয়ে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় কনটেইনমেন্ট জোন এবং মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে। তবে শহরে কনটেইনমন্টে জোনের সংখ্যা কমে এলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে আবাসনগুলি। এনিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরসভা (KMC)।
বুধবারের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতায় কনটেইনমন্টে জোনের সংখ্যা ৩৩ থেকে কমে গিয়ে এই মুহূর্তে তা হয়েছে ২৯ টি কনটেইনমন্টে জোনে। শহর কলকাতার ১০ নং বরোতেই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১২। এর মধ্যে রয়েছে ৮১, ৯২,৯৩,৯৬নং ওয়ার্ড। ১৬ নং বরো-তে ৫ টি এবং ৩ নং বরোতে ৪ টি কনটেইনমন্টে জোন। যোধপুর পার্কের ৯৩ নং ওয়ার্ডে রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কনটেইনমন্টে জোন। এই ওয়ার্ডে রয়েছে ৬টি কনটেইনমন্টে জোন। এর পাশপাশি ১৪৪ নং ওয়ার্ডে ৫টি কনটেইনমন্টে জোন। লেক থানায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কনটেইনমন্টে জোন রয়েছে। মোট ৭ কনটেইনমন্টে জোন রয়েছে এখানে। হরিদেবপুর থানা এলাকায় ৫টি কনটেইনমন্টে জোন। যদিও কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে কনটেইনমন্টে জোনের সংখ্যা কমে এলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে আবাসনগুলি। এনিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসছে পুরসভা।পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে বুস্টার ডোজ জোর কদমে দেওয়া চলছে। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪৮ হাজার ৬৪০ জনকে। অপরদিকে ১৫ থেকে ১৮ হাজার ৮৮ হাজার ২৪৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, Covid-19: মার্চেই মায়া শেষ, সাধারণ রোগে পরিণত হবে কোভিড, কী বলছে ICMR
আরও পড়ুন, কোভিড কি শুক্রাণুর সংখ্যা ও পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ গোটা রাজ্য়ে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫৫২ এবং কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৭ জন। ক্রিসমাস, বর্ষশেষের উৎসব পেরিয়ে বর্ষবরণের পর পয়লা জানুয়ারিতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৪৫১২ জন। এবং কলকাতায় একদিনে তখন আক্রন্তের সংখ্যা ছিল ২,৩৯৮ জন। অর্থাৎ রাজ্যের সংখ্যা গরিষ্ঠ সংক্রমণই হয় কলকাতায়। এদিকে তারপরেই যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে তা প্রথমে ১০ হাজার এবং নিউইয়ারের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ২০ হাজারের গণ্ডী পেরোয়। ১৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্যভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণ ২৩ হাজারের উপরে। অর্থাৎ সংখ্যাটা পয়লা জানুয়ারীর থেকে প্রায় ৬ গুণের উপরে। তবে এরপরের দিন থেকেই কার্যত কমতে থাকে সংক্রমণ। বুধবারের স্বাস্থ্যভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, সারা রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১১ হাজার ৪৪৭ এবং কলকাতায় একদিনে সংক্রমণ ২, ১৫৪ জন। বলাইবাহুল্য কাজ দিয়েছে কড়া বিধি-নিষেধ এবং কনটেইনমেন্ট জোন।