বিধাননগর পৌর নিগম ভোটে নমিনেশন পর্বে করোনা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ। বিধাননগর পৌর নিগমের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়দেব নস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি মিছিল করে নমিনেশন জমা দিতে আসেন।
বিধি নিষেধ জারি হয়ে গেছে রাজ্যে। বিধাননগর পৌর নিগম ভোটে ( Bidhannagar Municipal Polls) নমিনেশন পর্বে করোনা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ। বিধাননগর প্রশাসনিক ভবনে চলছে নমিনেশন। বিধাননগর পৌর নিগমের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়দেব নস্করের (TMC candidate Joydev Naskar) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
শহরে সচেতনার জন্য পুলিশ মাইক শুরু হলেও তাতে জয়দেব নস্করা কান দেননি বলে অভিযোগ। বিধাননগর মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে তিনি মিছিল করে নমিনেশন জমা দিতে আসেন। কিন্তু বেশিরভাগ কর্মী সমর্থকদের মুখে মাস্ক ছিল না। এমনকি ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী জয়দেব নস্করের মুখে মাস্ক ছিল না। তাদেরকে আটকে দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর নিজে একাই বিধাননগরের মহাকুমা শাসকের দপ্তরে নমিনেশন জমা দিতে যান তিনি।
জয়দেব নস্করের দাবি, 'আমি কাউকে নিয়ে আসিনি। শুধুমাত্র, সল্টলেকের মানুষ হাজির হয়েছে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে।' প্রত্যেকেই মাস্ক পরে এসেছেন, করোনা বিধি মেনে, স্যানিটাইজ করে এসেছেন বলে দাবি করেন তিনি। সোমবার বিধাননগর পৌরনিগম নির্বাচনের নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন সকাল থেকে ভিড় জমতে শুরু করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে করোনার সংক্রমণ এর কথা মাথায় রেখে ভিড় জমতে দেওয়া হচ্ছে না প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাই পুলিশের পক্ষ থেকে অতি উৎসাহী মানুষদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র যিনি প্রার্থী , তার সঙ্গে আরও দুজনকে প্রশাসনিক ভবনে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বেশি লোকজন জড়ো হলে তাদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
অপরদিকে, বিধাননগর প্রশাসনিক ভবনে একে একে নামিনেশন দিতে আসছেন বিধাননগর পৌরনিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। এসেছেন বিধাননগরের পৌর নিগমের প্রাক্তন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনিতা মন্ডলের সঙ্গে এসেছেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। পাশাপাশি বিধান নগর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন জমা দিতে এলেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। তাকে প্রস্তাবক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পৌরনিগম ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌর পিতা সুবীর সাহা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কমল গান্ধী।
প্রসঙ্গত, রবিবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৫৩ জন। যদিও উত্তর ২৪ পরগণার আক্রান্তের সংখ্যাটা কলকাতার তুলনায় অনেক কম। উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৪ জন। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,১৯৪ জন। তবে পরিসংখ্য়ান বলছে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে সামগ্রিকভাবে কোভিড সংক্রমণ যদি একই ভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে ফের পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাবে। আর তারপরেই রাজ্যে আংশিক লকডাউন শুরু হয়। সকাল থেকে রাস্তার মোড়ে সচেতনাতা বাড়াতে মাইকিং শুরু করে পুলিশ। তাই পুরভোটের আগে আরও কড়াকড়ি বিধাননগর সহ গোটা রাজ্যে।