শুক্রবার বিধাননগর এমপি এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জানুন ট্য়াবলো ইস্যুতে কী বার্তা তৃণমূল সাংসদের।
শুক্রবার বিধাননগর এমপি এমএলএ কোর্টে (Bidhanagar MLA MP Court) হাজিরা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে কোনও একটা বিক্ষোভের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর এমপি এমএলএ কোর্টে শুক্রবার হাজিরা দিতে আসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমি অতটা ওয়াকিবহাল নই। ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু আইনকে তো শ্রদ্ধা জানাতে হয়। এখানকার আইনজীবীরা জানান, আপনাকে আসতে হবে। এবং এই সব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। সেই কারনেই এখানে আসা বলে বার্তা তৃণমূল সাংসদের (TMC MP Sudip Banerjee)।
ট্যাবলো বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এই প্রসঙ্গে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কাল আমার কথা হয়েছে যে চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছেন আমাকেও পাঠিয়েছেন। আমি চিঠিটা স্ট্যাডি করেছি। আমি আমার মতো করে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করব। লোকসভা খুলছে ৩১ তারিখ থেকে। এটা তো বড় বিষয় হবে এবং একটা সর্বদলীয় বৈঠক হচ্ছে দিল্লিতে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আমি উপস্থিত থাকব। এবং সেখানে দলের পক্ষে আমার যা বলার বলব। অসম্ভব অগণতান্ত্রিক কাজ হচ্ছে এবং ফেডারেল স্ট্রাকচারকে ধ্বংস করে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা চলছে।' প্রসঙ্গত বাংলার পক্ষ থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের একটি ট্যাবলো পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ট্যাবলো খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এহেন পরিস্থিতিতে কার্যত হতাশ বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন।
যদিও এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে ট্যাবল বিতর্ক নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দুজন সিনিয়র মন্ত্রী এভাবে পরিস্কার করে দিয়েছেন। আমরা জানি যে ট্যাবলো হয় সেখানে বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে ৬০-৭০ টি ট্যাবল গিয়েছে সেখানে ২৩ টি সিলেক্ট হয়েছে। ২৯টি রাজ্য পাঠিয়েছিল সেখানে ১২ টি সিলেক্ট হয়েছে। সেজন্য কোনও বিশেষ রাজ্য বা বিরোধী বলে আলাদা করা হয়েছে এমন নয়। তার নির্দিষ্ট নীতি পদ্ধতি আছে সেভাবেই হয়। প্রত্যেক বছরই হয় টিএমসির ট্যাবলোর চাইতে আগ্রহ রাজনীতিতে তাই তারা জলঘোলা করছেন। পিআইএল করার একটা ফ্যাশন হয়ে গিয়ে আজকাল যে কোনও বিষয়ে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নেই পশ্চিমবাংলায় তাই পিআইএল হয়। কেন্দ্রে এব্যাপারে স্পষ্ট নীতি তাই ওখানে জটিলতা নেই।'
অপরদিকে, সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাজেট সেশন শুরু হচ্ছে তাঁর আগে একটা বৈঠক হবে বলে আমরা জানতে পারছি। ২৭ তারিখ বিকেল চারটেয় এমপিদের বৈঠক দেখেছি তাতে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তিনি ভার্চুয়াল কনফারেন্স করবেন এমপিদের সঙ্গে। লোকসভা রাজ্যসভা উভয়ের সঙ্গে। এটা কী স্ট্যাজেডি ঠিক করার জন্য প্রশ্ন উঠতেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'বাজেট অধিবেশন সবচাইতে দীর্ঘ অধিবেশন, সেখানে দলের কর্মপন্থা নির্ধারণ হবে।'