মঙ্গলবার রাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উল্টোডাঙ্গা উড়ালপুল। তিনদিনের জন্যে যান চলাচল বন্ধ থাকবে জানিয়েছিলেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু কেএমডিএ-র বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শনের পরে পুরোপুরিই বন্ধ করে দেওয়া হল উল্টোডাঙা উড়ালপুল।
এদিন সেতুর ডিজাইনার অমিতাভ ঘোষাল উল্টোডাঙ্গা ব্রিজ পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন কেএমডিএর সিইও অন্তরা আচার্য, এবং সংস্থার অন্যতম ইঞ্জিনিয়ার আশিস সেন। তারাই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে জানিয়ে দেন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হচ্ছে উল্টোডাঙ্গা উড়ালপুল।
মঙ্গলবার সন্ধেয় কেএমডিএ-র একদল ইঞ্জিনিয়র ব্রিজ পরিদর্শনে এসেএই ফাটল দেখতে পান। ফাটলটি ছিল বিমানবন্দর-সল্টলেক উড়ালপুলের সেই পুরনো স্তম্ভটিতেই। বলা চলে তাদের তৎপরতাতেই বিরাট কোনও দুর্ঘটনা আটকানো সম্ভব হয়। বিপদ বুঝেই এই পরিদর্শক টিম কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর কমিশনারেটকে সতর্ক করে। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় তৎপরতা। ব্রিজের ওপর সব রকম গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গার্ডরেল লাগিয়ে দেয় ব্রিজের মুখে।
আরও পড়ুনঃ ফিরল ৬ বছর আগের আতঙ্কের স্মৃতি, ব্রিজের ভাঙন বাঁচাল পরিদর্শকদের তৎপরতা
ফিরল ৬ বছর আগের আতঙ্কের স্মৃতি, ব্রিজের ভাঙন বাঁচাল পরিদর্শকদের তৎপরতা
বিপদ কমলেও ভোগান্তি শুরু হয় অন্য ভাবে। দুই দিকেই উড়ালপুল বন্ধ থাকায়, হাটকো মোড়ের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। কার্যত চিংড়িঘাটার পর থেকেই বারংবার স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। কলকাতা পুলিশ যাতায়াতের অন্য রুটের সন্ধান দিলেও খুব সুরাহা হয়নি। গতদিনও সন্ধের পর থেকে যানজট তৈরি হতে থাকে এই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। এখন এই নতুন ঘোষণায় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ এই অঞ্চলের যানচলাচলকে স্বাভাবিক রাখা।