রাজ্যে ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে।অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য খুলছে স্কুল, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য পাড়ায় শিক্ষালয়। এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
রাজ্যে ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় (WB School College University ) খুলছে।অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য খুলছে স্কুল। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য পাড়ায় শিক্ষালয়। পলিটেকনিক কলেজ, আইটিআই-সহ সকল কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু বৃহস্পতিবার থেকেই। তবে প্রাইমারি স্কুল খোলার বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। তবে এখানেই শেষ নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হবে সরস্বতী পুজোও। এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হচ্ছে। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ৪ এবং ৫ তারিখ স্কুল বন্ধ থাকছে। তবে ৩ তারিখ স্কুলে গিয়ে সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি নিতে পারে ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পাশপাশি খোলা হবে হোস্টেলও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষার তরফে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হোস্টেল খোলার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজন অনুযায়ী হোস্টেল খোলার প্রস্তুতি নিতে হবে। হোস্টেলগুলিতে আবাসিকদের কোভিড বিধি মেনেই চলতে হবে। তবে হোস্টেল খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই নির্দেশিকার রাজ্যের সকল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবিলম্বে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে বলা হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের কথাও বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে বিক্ষোভ চালায় একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন। মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টেও। এই নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। তবে এবার শেষ অবধি কোভিড সংক্রমণ কমতেই খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অপরদিকে, ওয়ার্ক ফর্ম হোম ছেড়ে এবার অফিসে ৭৫ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খোলা যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর। রাজনৈতিক এবং সাংষ্কৃতিক কর্মসূচিতে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাস্তার মিটিং-মিছিলে ২০০ জনের বেশি বিধি নিষেধ জারি থাকবে। অডিটোরিয়াম, রেস্তোরা, পান শালাতেও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ৭৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে লোকাল ট্রেন এবং কলকাতা মেট্রো। ক্রীড়া ক্ষেত্রে মোট ৭৫ শতাংশ দর্শকদের আসন খুলে দেওয়া হবে। এবার থেকে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত চলবে নাইট কার্ফু। এমনটাই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কোভিড সংক্রমণ ধীরে ধীরে আরও কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে। পরিবহণ ব্যবস্থাও আরও সহজ হবে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।