ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে কি বাংলায়, চিন্তায় সবাই। তবে নিম্নচাপ জমাট বাধলেই ফের ঝড় বৃষ্টি হবে। উল্লেখ্য, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ইতিমধ্য়েই সতর্কবার্তা জারি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে কি বাংলায়, চিন্তায় সবাই। তবে নিম্নচাপ জমাট বাধলেই ফের ঝড় বৃষ্টি হবে। যদিও গত কয়েক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে পারদ অনেকটাই নামলেও আবারও গরমের কথা ভেবে নাকাল শহরবাসী। যেহারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে গত এপ্রিল মাস জুড়ে, তাতে কিছুতেই চিড়ে ভিজছে না। এদিকে তাপপ্রবাহ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে ফিরে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ্য, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ইতিমধ্য়েই ওড়িশার ১৮ জেলায় সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বৃষ্টির পূর্বভাস রয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গেও। হিসেব অনুযায়ী এদিনই শেষ বৃষ্টি পাবার কথা, কারণ আগেই ৫ তারিখ অবধি বৃষ্টি হবে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবে পরিস্থিতি বদলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় রয়েছে হাওয়া অফিস।
বিশেষজ্ঞরা আন্দাজ করেছেন, '১০ মে নাগাদ উড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণঝড়। তবে কোনপথে এগোবে এই ঘূর্ণিঝড়, তার এখনও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। শনিবার থেকেই এই বিষয়ে ষ্পষ্ট কের কিছু বলা সম্ভব হবে বলে অনুমান তাঁদের। এই প্রসঙ্গে আইএমডি-র এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ৬ মে নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘণীভূত হবে। দক্ষিণ আন্দামান এবং বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। ওই একায় মৎসজীবীদের মূলত না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কেন না আবহাওয়ার অনেক বদল ঘটবে।'
আরও পড়ুন, অর্জুন চৌরাসিয়া আসলে কে ? কেন এত ধুন্ধুমার কাশীপুর, যুব নেতার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতির সম্ভাবনা আগেই তৈরি হয়েছে। তীব্র দাবদাহের মধ্য়েই ঝড়-বৃষ্টি হওয়াতে স্বস্তি সারা বাংলায়। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন কালবৈশাখীহীন চৈত্র-বৈশাখ সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তীব্র দাবদাহের অস্বস্তি কাটিয়ে, কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় আপাতত তাপপ্রবাহের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে না। তবে অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন, 'ফের পলিটিক্যাল টুরিস্ট ফিরে এসেছে বাংলায়', পার্থ-কাকুলির তোপের মুখে অমিত শাহ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় ছিল।উল্লেখ্য, এই সময় অন্য বছরগুলিতে তিন থেকে চারটি কালবৈশাখী হয়ে যায়। কিন্তু, এবছর এখনও পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে সবে একটা কালবৈশাখী হয়েছে। বিগত অনেকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। শীতের সময় উত্তরবঙ্গের থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বেশি হয়েছিল। কিন্তু, তারপর থেকে আর বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষবারের মতন বৃষ্টি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে। তবে তারপর ফের বৃষ্টির প্রাণ জুড়িয়ে দেয় বঙ্গবাসীর। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে দাবদাহের পরিস্থিতি কমবে। উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি অনেকটাই অনুকূলে থাকবে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার-সহ বিভিন্ন সমতল এলাকায় দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিংপং সহ পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। পাবর্ত্য এলাকায় বৃষ্টি পরিমাণ কিছুটা বাড়বে।