চলতি সপ্তাহে সোমবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যে। অনেকটা কালবৈশাখীর ঢঙেই মেঘ ডাকছে, ঝোড়ো হাওয়া বইছে, সঙ্গে চলছে মুশল ধারে বৃষ্টি, কোথাও আবার শিলাবৃষ্টিও হচ্ছে। তবে কালবৈশাখীর মতো কেবল বিকেল বা সন্ধ্যাতেই সীমাবদ্ধ নেই বৃষ্টি, ঝমঝমিয়ে তা নামছে রাতে বা সকালেও। বসন্তের মরশুমে এই বৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। মাঠেই পচে শুরু করেছে আলু। কোথাও ঝড়ে পড়ছে আমের মুকুল। তবে শনিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে একটা ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এর ফলে শুক্রবার ও শনিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়-বৃষ্টি চলবে। তারপর থেকে অবশ্য আবহাওয়ার উন্নতি হবে। উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব বাড়বে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গেও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রবিবার থেকেই দুই বঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। আর বৃষ্টি হবে না। ফলে দোলের দিন আবহাওয়া মনোরম থাকারই সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: শশ্মনে হোলি খেলেন মহাদেব, রীতি মেনে বারাণসীতে আবিরের সঙ্গে মিশল চিতাভস্ম, দেখুন ভিডিও
বসন্তের মরশুমে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পুবালি হাওয়ার সংঘাতেই রাজ্যজুড়ে এই বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে বিপরীত গূর্ণাবর্ত। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে রাজ্যে ঢুকে পড়েছে প্রচুর জলীয়বাষ্প।
এদিকে শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৫ থেকে ৯৪ শতাংশ ।
আরও পড়ুন: স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে গিয়ে বিপত্তি, রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ গোটা পরিবার
পশ্চিমবঙ্গের মতই শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ভারতের জন্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে। তৈরি হয়েছে নতুন করে তুষারপাতের সম্ভাবনাও। ভারি বৃষ্টি হতে পারে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, ছত্রিশগড় ও ঝাড়খণ্ডেও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। প্রতিবেশী ওড়িশাতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।