২১ জুলাই আটাশ বছর আগে ঠিক কী হয়েছিল, জানুন আজ কেন শহিদ দিবস


 ২১ জুলাই-র ইতিহাসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই, তবে সেই দিন ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ২১ জুলাই ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন, কীভাবে যুক্ত ছিলেন মমতা, চলুন ফিরে দেখা যাক সেই জ্বলন্ত মর্মান্তিক দিনটাকে।
 


৩৪ বছরের বাম রাজত্বের ধস নামিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে মমতার সরকার। জয়ের পর পৃথক বিজয় উৎসব করেনি সেদিন মমতার ঘাসফুল শিবির। বরং সেই ঐতিহাসিক দিনটায় তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছিলেন, জয়ের উদযাপন হবে ২১ জুলাই শহিদ তর্পনের দিন। এদিকে ২১ জুলাই-র ইতিহাসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। কারণ ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই ঘটে যাওয়া ঘটনার সময় তৃণমূলের সৃষ্টিই হয়নি। তবে সেই দিন ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ২১ জুলাই ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন, কীভাবে যুক্ত ছিলেন মমতা, চলুন ফিরে দেখা যাক সেই জ্বলন্ত মর্মান্তিক দিনটাকে।

আরও পড়ুন, মোদী-যোগী সহ ৭ রাজ্যের জায়ান্ট স্ক্রিনে চলবে মমতার ভাষণ, ২১ জুলাই বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের

Latest Videos

 


বছরটা ১৯৯৩, তখনও জন্ম হয়নি তৃণমূলের। রাজ্য শাসন করছে জ্য়োতি বসুর সরকার।  সেসময় রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেত্রী তথা সভাপতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেময় সিপিএমের বিরুদ্ধে ছাপ্পা-রিগিং-র অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্রের দাবিতে ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন  রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেত্রী তথা সভাপতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। প্রথমে ১৪ জুলাই কর্মসূচির দিন ঠিক হলেও পরে প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসানের মৃত্যুতে তা পিছিয়ে ২১ জুলাই কর্মসূচি রাখা হয়। 

আরও পড়ুন, 'হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুকে ভারতীয় মনে করে BJP', নিশীথের নাগরিকত্ব ইস্যুতে কোর্টের চ্যালেঞ্জ সায়ন্তনের

 


 
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মমতার ডাকে মহাকরণ অভিযানের জন্য কলকাতার রাজপথে নামে হাজারে হাজারে যুব কংগ্রেস কর্মীরা। রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক সচিবালয়ে এই অভিযান রুখতে তৎপর হয় পুলিশ। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে করা হয় ব্যারিকেড। কিন্তু মুহূর্তেই তা অন্যরুপ নেই। আচমকাই শুরু হয় গুলি বর্ষণ।  গুলিতে নিহত হন ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী। শহিদ হন-বন্দনা দাস, মুরারী চক্রবর্তী, রতন মন্ডল, কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়, বিশ্বনাথ রায়, অসীম দাস, কেশব বৈরাগী, শ্রীকান্ত শর্মা, দিলীপ দাস, রঞ্জিত দাস, প্রদীপ দাস, মহম্মদ খালেক, ইনু।  এই ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্য়ুতে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। 

আরও পড়ুন, ৯৩ সালের সেই দিনের যন্ত্রণা আজও বুকে বাজে, ট্যুইট করে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

 

 

কার নির্দেশে গুলি চালাল পুলিশ, এপ্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। উল্লেখ্য, তৎকালীন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে এই ঘটনায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ক্লিনচিট দেয় সিবিআই। তারপর থেকে ১৯৯৩ সালের এই ঘটনার পর প্রতিবছর ২১ জুলাই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যদিও পরবর্তীতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে ২১ জুলাই দিনটিকে আজও শহিদ দিবসের-র মর্যাদা দেওয়া হয়।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'দুর্নীতি করবে বলেই এরা এই প্রকল্প চালু করেছে' ট্যাব দুর্নীতিতে সরব অধীর রঞ্জন চৌধুরী
Suvendu Adhikari Live: পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকুলে জনসভা শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
'চুরি হবে অথচ তৃণমূলের নাম আসবে না তা হয় কখনও!' ট্যাব দুর্নীতিতে মমতাকে ধুয়ে দিলেন সুকান্ত!
Suvendu Adhikari: 'তৃণমূল বাচ্চাদের ট্যাবও খেয়ে ফেলছে' চরম কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর
‘এবার সনাতনীদের এক হতে হবে’ হিন্দুদের উদ্দেশ্যে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari