বার বার ঝামেলা হলেও ক্য়াম্পাসে ঢোকেনি পুলিস। প্রতিবারই উপাচার্যদের এহেন আচরণ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বাইরে কি না তানিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল। যা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যুক্তি দিলেন খোদ উপাচার্য।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মন্ত্রী হেনস্থার পরও উঠেছিল প্রশ্নটা। বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা হতে দেখে উপাচার্যকে পুলিস ডাকতে বলেছিলেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু সূত্রের খবর, প্রয়োজনে পদত্যাগ করবেন- তবু ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকবেন বলেছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগে হোক কলরব স্লোগান দিয়ে লাগাতার আন্দোলনের পথে নেমেছিল ছাত্ররা। সেবারও পুলিস ডাকেননি উপাচার্য। এমনকী অভিযোগ,২০১৫ সালে ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকার পক্ষে থাকায় উপাচার্যের গদি থেকে সরতে হয় প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে। কদিন আগে বর্তমান ভায়েস চ্যান্সিলরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন প্রাক্তনী। তিনি বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি দেশের বাইরে নাকি। সেখানেও তো দেশের সংবিধান আইন লাগু রয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষাঙ্গনে পুলিশের দাপাদাপি দেখতে চান না তাঁরা। ছাত্র শিক্ষক ছাড়াও অন্য কিছু সমস্যা হলে তা নিজেরা বসেই সমাধান করবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল তথা যাদবপুর বিশ্ববদ্যালয়ের আচার্যকে এই কথাই বলে এসেছেন উপাচার্য সহ উপাচার্য ছাড়াও রেজিস্ট্রারের টিম। সেখানে উপাচার্য রাজ্যপালকে জানান,স্বাধীনতা আন্দোলেনর সময় পুরো একটা আলাদা চিন্তাধারা থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল। ক্যাম্পাসে পুলিস ঢোকার ঘোর বিরোধী ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনরা। যদিও নিজের কথায় অনড় থাকেন রাজ্যপাল। উপাচার্যকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৬ ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছেন জনেও কেন পুলিস ডাকা হবে না ?
জানা গেছে, ক্যাম্পাসে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি হলে তাঁর সমাধানে কেন পুলিস ঢাকা যাবে না তা উপাচার্যের কাছে জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। পুজোর ছুটির পরই ফের ধনখড়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে উপাচার্যকে। এদিকে রাজ্যপালের এই সক্রিয়তা নিয়ে মুখ খুলেছে শাসক দল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, উনি সব কিছুকেই বিচারসভা বলে ভাবছেন।