বছরদুয়েক আগে রাজ্য়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হয়েছিল ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের। রেললাইনের ওপর পাওয়া গিয়েছিল তাঁর মৃতদেহ। তরুণ শিক্ষক রাজকুমারের মৃ্ত্য়ুতে তাঁর সহকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। রাজ্য় সরকার দাবি করেছিল, ট্রেন লাইনে আত্মহত্য়া করেছিলেন ওই ভোটকর্মী তথা শিক্ষক। যদিও তাঁর সহকর্মীদের অভিযোগ ছিল, রাজকুমারবাবু আত্মহত্য়া করেননি। বরং শাসকদলকে যথেচ্ছভাবে রিগিং করতে দেননি বলেই খুন হতে হয় তাঁকে।
পঞ্চায়েতে পর রাজ্য়ে লোকসভা ভোট হয়েছে গত বছর। সেই ভোটের আগে রাজ্য়জুড়ে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে নামেন ভোটকর্মীরা। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না-থাকলে তাঁরা ভোট করতে যাবেন না। তাঁদের দাবি এবং একইসঙ্গে বিরোধীদের দাবি মেনে কার্যত ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেবার।
এবার পৌরভোট। এপ্রিল থেকে রাজ্য়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে এই ভোট। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মতো পৌরভোটেও কিন্তু রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে হবে। তাই এই পুরনির্বাচনে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করলেন শিক্ষক, শিক্ষককর্মী ও শিক্ষাবন্ধু মঞ্চের প্রতিনিধিরা। নির্বাচন কমিশনারের কাছে তাঁরা দাবি জানান, যথাযথ নিরাপত্তা না-পেলে তাঁরা ভোটের কাজে যাবেন না। সংগঠনের প্রতিনিধি কিংকর অধিকারী জানান, "আমাদের ওপর সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়। অথচ আমরা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারি না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বুথের ভেতর আমাদের ম্য়ানেজ করতে বলে, কম্প্রোমাইজ করতে বলে। আর আমরা তা করতে বাধ্য় হই নিরাপত্তার কারণে। রাজ্য় নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের দাবি মেনে নিরাপত্তার ব্য়বস্থা সুনিশ্চিত না-করে, তাহলে কিন্তু আমরা ভোটের কাজে যাব না।"