শহরে ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু। এবার বেহালায়। গত কয়েকদিন ধরেই আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি। পরিবারের দাবি, ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।
মৃতার নাম পারমিতা পারমিতা পাল। বছর ছত্রিশের ওই যুবতীর বাড়ি বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায়। চলতি মাসের গোড়ার দিকে জ্বরে আক্রান্ত হন পারমিতা। পরিবারের লোকেদের দাবি, কিছুতেই জ্বর সারছিল না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল দ্রুত। গত ১২ নভেম্বর পারমিতাকে ভর্তি করা হয় আরজিকর হাসপাতালে। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল পারমিতার। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি। ডেথ সার্টিফিকেটেও ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্তত তেমনই দাবি পরিবারের।
কলকাতা হোক কিংবা শহরতলি, এমনকী, জেলাতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কয়েক হাজার মানুষ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, স্রেফ কলকাতা পুর এলাকাতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সাতজন। চলতি মাসে গোড়ার দিকে বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে মৃত্যু হয় এক গর্ভবতী মহিলার। তিনি আবার আর্মহার্স্ট থানায় মহিলা কনস্টেবল ছিলেন। পরিবারের লোকেদের দাবি, অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থাতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন রুনু বিশ্বাস নামে ওই মহিলা। বাড়িতে চিকিৎসাও চলছিল। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সন্তান প্রসব করতে মারা যান ওই গৃহবধূ। বস্তুত, তিনি যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, তা চিকিৎসকরাও বুঝতে পারেননি বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকেদের বক্তব্য, বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রুনু বিশ্বাসের প্রসব করিয়ে দেওয়া হয়। শারীরিক ধকল সহ্য করতে পারেননি তিনি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে লেকটাউনের বাসিন্দার বছর তিনেকের অহর্ষি ধরও। এমনকী, ডেঙ্গুর হাত থেকে রেহাই পাননি খোদ কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকও। তিনি অবশ্য উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহের বাসিন্দা ছিলেন। তবে চাকরি করতেন ধর্মতলায় কলকাতা পুরসভার সদর দপ্তরে। মারাও যান শহরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সংসদেও প্রশ্ন তুলেছেন বাঁকুড়ায় বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। দিন কয়েক আগে লোকসভায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন তিনি।