অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ কর্পূর। এটি চুলে লাগালে উকুন, খুশকি এবং ছত্রাক সংক্রমণের মতো সমস্যা হয় না। এছাড়াও চুলে কর্পূর ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
কর্পূর সর্বদা ঐতিহ্যবাহী চিনা এবং ভারতীয় আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বক ও চুলের অনেক সমস্যা কমাতে সহায়ক। তবে, যদি আমরা শুধুমাত্র চুলের জন্য কর্পূর তেলের উপকারিতা সম্পর্কে কথা বলি, তবে এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ। এটি চুলে লাগালে উকুন, খুশকি এবং ছত্রাক সংক্রমণের মতো সমস্যা হয় না। এছাড়াও চুলে কর্পূর ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
চুলের সমস্যার জন্য কর্পূর তেলের উপকারিতা-
১) খুশকি দূর করে-
চুলের খুশকির সমস্যা সবাইকে বিরক্ত করে। সেবোরিক ডার্মাটাইটিস দ্বারা সৃষ্ট ছত্রাকের সংক্রমণের মধ্যে খুশকি অন্যতম। এর কারণে ত্বক লাল, তৈলাক্ত ও খসখসে থাকে। এই ক্ষেত্রে, কর্পূর তেলের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, ত্বকের মৃত কোষ তৈরি হওয়া রোধ করে এবং ফ্ল্যাকি খুশকি থেকে মুক্তি দেয়।
২) চুল পড়া কম হয়-
কর্পূর তেল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং একটি পরিবেশ তৈরি করে যা শিকড় থেকে শক্ত চুল পেতে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে, এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা চুলের ফলিকলগুলিকে আরও ভাল বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে সমৃদ্ধ করে। এছাড়াও কর্পূর তেল কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে পারে, যা চুলের খাদকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমায়।
৩) স্কাল্প ইনফেকশনের সমস্যায় কার্যকরী
কর্পূর অনেক জৈবিক গুণে সমৃদ্ধ। যেহেতু এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল। কর্পূর তেল ঘরোয়া ক্লিনার হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি আপনার মাথার ত্বকে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করে সংক্রমণ কমায়।
কিভাবে কর্পূর তেল তৈরি করবেন-
কর্পূর তেল তৈরি করতে নারকেল তেল নিয়ে তাতে কর্পূরের টুকরো মিশিয়ে নিন। এবার এটি গরম করুন এবং ঠান্ডা হয়ে গেলে চুলে লাগান। এছাড়া আমলা তেল ও কর্পূর মিশিয়েও কর্পূর তেল তৈরি করতে পারেন। চুলের অনেক সমস্যা দূর করতেও এটি কার্যকরী।