শীতকালে পায়ে ফাটা খুবই সাধারণ সমস্যা। সময়মতো যত্ন নেওয়া এবং প্রতিকার করা গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে পায়ে ফাটা রোধ করার জন্য কীভাবে ময়েশ্চারাইজার তৈরি করবেন তা জেনে নিন।
ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার ফাটা পায়ের জন্য: শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়ার সমস্যা অনেকেরই হয়। এছাড়াও, ক্রমাগত জলে কাজ করার ফলেও পায়ের তলায় ফাটা দেখা দেয়। এর ফলে পছন্দের জুতা পরা যায় না। শুধু তাই নয়, সম্পূর্ণ পা ঢাকা জুতোতে পায়ের ফাটা ব্যথা করে। তাই পায়ে ফাটা রোধ করার জন্য সময়মতো এবং সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ঘরে বসেই কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে পারেন। যাতে শীতকালে পায়ে ফাটা রোধ করা যায়।
পায়ে ফাটা রোধ করার উপায়
শীতে পায়ে ফাটা সমস্যা দেখা দিলে এখন থেকেই পায়ের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। বাইরে যাওয়ার সময় পুরো পা ঢাকা জুতা পরুন। এছাড়াও শীতে পায়ে মোজাও পরুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সপ্তাহে একবার পা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর এক্সফোলিয়েট করুন। এতে ত্বক নরম থাকবে এবং পায়ে ফাটা রোধ হবে।
এই তিনটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ
ময়েশ্চারাইজার তৈরি করার জন্য গ্লিসারিন, লেবুর রস এবং নারকেল তেল গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি উপাদানের সাহায্যে পায়ের ফাটা দূর করা যায়। এছাড়াও হলুদ রঙের মোম গলিয়ে তাতে নারকেল তেল, ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজারও পায়ের ফাটার উপর কাজ করে।
এভাবে তৈরি করুন ময়েশ্চারাইজার
একটি প্যানে শিয়া বাটার দিয়ে গলিয়ে নিন। এতে নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো তেলও দিয়ে কম আঁচে গরম করুন। ৮-১০ মিনিটে ময়েশ্চারাইজার তৈরি হয়ে যাবে। একটি কাচের বোতলে ময়েশ্চারাইজার ভরে ফ্রিজে রাখুন। ময়েশ্চারাইজারে আরও সুবাস আনার জন্য তাতে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন। পায়ের ফাটার উপর তৈরি করা ময়েশ্চারাইজার দিনে দুই থেকে তিনবার লাগান। এছাড়াও রাতে ময়েশ্চারাইজার পায়ে লাগিয়ে মোজা পরে ঘুমান।
এই বিষয়গুলোর যত্ন নিন
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের প্রতিদিন পায়ের তলার যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ, ক্ষত হলে সারতে সময় লাগে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পদার্থ এবং পানি পান করুন। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এভাবে শীতকালে পায়ে ফাটা রোধ করা যায়।
(বিশেষ দ্রব্যষ্ট: এই লেখার মাধ্যমে কেবলমাত্র তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। Asianet News Bangla এ বিষয়ে কোনও দাবি বা সমর্থন করে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)