যুগ যুগ ধরে নিম গাছ ভারতের আশ্চর্য গাছ হিসেবে স্বীকৃত। প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী, এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট ।
বর্ষাকালে নিম অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উপাদান। বর্ষাকালে চুল থেকে ত্বকের যত্নের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। চুল আর ত্বকের জন্য় এটি এই ঋতুতে দুর্দান্ত কাজ করে। নিমের বিশেষত্ব হল যুগ যুগ ধরে নিম গাছ ভারতের আশ্চর্য গাছ হিসেবে স্বীকৃত। প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী, এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট । ভাইরাস নিরাময়কারী হিসাবে আয়ুর্বেদিক প্রতিকারে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর পাতা, ফল, ছাল এবং বীজের তেল ত্বক, চুল এবং শরীরের জন্য প্রচুর উপকারিত। আজকের প্রসাধনী এবং আয়ুর্বেদিক স্কিনকেয়ার পণ্যগুলির একটি মূল উপাদান হল নিম।
ত্বকের যত্নের জন্য নিমের ব্যবহার
একটি আয়ুর্বেদিক উবতান তৈরি করতে মুলতানি মাটির সমান অংশ এবং হলুদের গুঁড়োর সঙ্গে শুকনো এবং গুঁড়া নিম পাতা মিশিয়ে নিন। কিছু ফরেস্ট এসেনশিয়াল ফেসিয়াল টোনার পিওর রোজ ওয়াটার বা অ্যালোভেরার জুস যোগ করুন এবং ত্বক পরিষ্কার করতে, এটিকে পরিষ্কার এবং তাজা রাখতে প্রয়োগ করুন। পরিস্কারের জন্য আমরা ফরেস্ট এসেনশিয়াল উবতান মুলতানি মিট্টি এবং সূক্ষ্ম মুখ পরিষ্কারকারী কাশ্মীরি জাফরান এবং নিম সুপারিশ করি। এগুলি ত্বককে সতেজ বোধ করে এবং ব্রেকআউটগুলিকে দূরে রাখে।
চুলের যত্নে নিমের ব্যবহার
একটি ক্রিমি সামঞ্জস্য তৈরি করতে নিম পাতার গুঁড়ো কিছু দই মেশান। শীতল প্রভাবের জন্য আপনার মাথার ত্বকে পেস্টটি প্রয়োগ করুন। নিম চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুলকে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।
স্নানের সময় নিমের ব্যবহার
ত্বকের যত্নের জন্য নিম পাতা থেকে নিম ছাল দিয়ে তৈরি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত নিম পাতার জলে স্নান করলে ত্বকে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। নিমপাতা ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে স্নানের পর গায়ে ঢেলে দিলে রীতিমত উপকার পাবেন। বর্ষাকালে নানা ধরনের ইনফেকশন হয়। কারণ এই ঋতুতে ছত্রাকের বাড়বাড়ন্ত। তাই নিমের পাতার জল উপকারি। এটি আপনি মুখেও মাখতে পারেন। কোনও সমস্যা হবে না। নিম পাতানিয়ে অনেক রকম পেস্ট তৈরি করা যায়। তাও ব্যবহার করতে পারেন মুখের জন্য। নিমপাতা আর চাল বেটে মুখে লাগালে সমস্যা সমাধান হয়।