বুকের দুধ খাওয়া ছাড়ার পরে এই কয়েকটি খাবার বাচ্চাকে করে তুলবে বুদ্ধিমান-স্বাস্থ্যবান

শিশুর খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই খাবারগুলির মাধ্যমে পুষ্টি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Parna Sengupta | Published : Mar 8, 2024 12:53 PM IST

প্রত্যেকের বাবা-মা চান তাদের সন্তানের মন তীক্ষ্ণ এবং বুদ্ধিমান হোক। তবে শিশুর ৬ মাস বয়স হওয়ার পর মা যখন বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দেন বা কমিয়ে দেন, তখন তিনি শিশুকে খাওয়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার দেন। কিন্তু অনেক সময় শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এই সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শিশুর খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই খাবারগুলির মাধ্যমে পুষ্টি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আপনি যদি আপনার সন্তানের মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে চান, তবে এই খাবারগুলি আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

ডাল

ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। এগুলিতে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে যা শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনি মসুর ডাল সিদ্ধ করে বা ভাপিয়ে বাচ্চাদেরকে স্যুপের আকারে দিতে পারেন বা মসুর ডাল ভিজিয়ে পিষে দোসা তৈরি করে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।

ডিম

ডিমে প্রোটিন ও কোলিন থাকে যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। যেসব শিশুর দাঁত উঠেনি, তাদের ডিম মেশানো উচিত এবং খাওয়ানো উচিত। বাচ্চাকে সিদ্ধ ডিমও খাওয়াতে পারেন। এটি শিশুকে প্রোটিন সরবরাহ করবে যা তার বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করবে।

সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাক সবজি খাওয়া উচিত যা শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য খুবই উপকারী। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশকে উত্সাহ দেয়। সবুজ সবজির খিচড়ি বা স্যুপ বানিয়ে শিশুকে দিতে পারেন।

দই

শিশুদের মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ করতে তাদের খাবারে দই রাখুন। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য দই সবচেয়ে ভালো। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতায়ও অনেক সাহায্য করে। আপনি দইয়ে আধা চা চামচ ফ্ল্যাক্সসিড বা চিয়া বীজ মিশিয়ে বাচ্চাকে দিতে পারেন বা পিষে গুঁড়ো আকারে দইয়ে ছিটিয়ে দিতে পারেন।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এবং এতে সাধারণ জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শিশুর অন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর মাইক্রোফ্লোরা দিয়ে পূর্ণ করে। এটি শিশুদের জন্য খুবই উপকারী।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!