কোষ্ঠকাঠিন্যকে অনেকেই খুব একটা পাত্তা দেন না এমন একটি সমস্যা, কিন্তু এটি হার্ট অ্যাটাক সহ আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার আগাম লক্ষ্মণ হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যর কারণে তৈরি চাপ হার্টের উপর প্রভাব ফেলে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আজকাল হৃদরোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বয়সের তোয়াক্কা না করে এর কবলে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা, জীবনযাত্রার ধরন সঠিক না হওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা - এসব কারণেও নানা রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। এসব কারণে হার্ট অ্যাটাক এসে প্রাণ হারিয়েছেন এমন নজিরও কম নয়।
তাই হৃদয়ের সুস্থতার জন্য সব বিষয়েই সতর্ক থাকা জরুরি। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো শুরুতেই বুঝতে পারা জরুরি। তাহলেই প্রাণহানির ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। হার্ট অ্যাটাকের আগে অনেক লক্ষণ দেখা দেয়। এর মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যও একটি। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে কি কোনো যোগসূত্র আছে? কোষ্ঠকাঠিন্য কি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন জেনে নেওয়া যাক।
কোষ্ঠকাঠিন্য কি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ?
অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যকে ছোটোখাটো সমস্যা ভেবে উড়িয়ে দেন। কিন্তু এটি অনেক বড়ো রোগেরই আগাম সতর্কীকরণ চিহ্ন। এর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক অন্যতম। হার্টের স্বাস্থ্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনেকেরই ধারণা নেই। কিন্তু, এটি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোষ্ঠকাঠিন্য পেট পরিষ্কার করতে অস্বস্তিকর করে তোলে। বেশি জোর প্রয়োগ করতে হয়। মলত্যাগের সময় এই জোর পেটের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এতে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যায়।
হৃদযন্ত্রের উপর এই চাপ ইতিমধ্যেই যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও, ভুল খাদ্যাভ্যাস দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ। যেমন- কম ফাইবারযুক্ত খাবার, কম তরল পদার্থ গ্রহণ। এগুলোও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে ধমনীতে ফ্যাট জমতে থাকে। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
শারীরিক পরিশ্রমের অভাবও কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ। এটি হৃদয়ের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয় না। কিন্তু, এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য এটিকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে ধরে নেওয়া উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে যদি বুকে ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, মাথা ঘোরা, ভয় - এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।