দোকান বা কোনও জায়গা থেকে জিনিস চুরি করার ইচ্ছে হয়? জেনে নিন কাকে বলে ক্লিপটোম্যানিয়াক ও এর চিকিৎসা

আপনি কি জানেন যে বারবার চুরি করার অভ্যাস বা তা করার প্রবল ইচ্ছা আসলে এক ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা! ডাক্তারি ভাষায় একে ক্লেপটোম্যানিয়া বলা হয়।

Parna Sengupta | Published : Mar 29, 2024 11:08 AM IST

আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, 'চুরি করা পাপ'। কিন্তু একজন মানুষ যদি বারবার চুরি করে, তার মন তাকে চুরি করতে বাধ্য করে? আমরা সবাই প্রায়ই এমন অনেক ঘটনা শুনছি এবং দেখছি।

সম্প্রতি এক মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে তিনি যেখানেই যান, তার স্বামী কিছু না কিছু চুরি করে। হোটেলের শ্যাম্পু-তোয়ালে হোক বা ট্রেনের বিছানার চাদর। ওই মহিলা জানান, স্বামীর এই অভ্যাসে তিনি খুবই বিরক্ত।

এটা কিন্তু ওই ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত করছেন না। আপনি কি জানেন যে বারবার চুরি করার অভ্যাস বা তা করার প্রবল ইচ্ছা আসলে এক ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা! ডাক্তারি ভাষায় একে ক্লেপটোম্যানিয়া বলা হয়।

ক্লেপটোম্যানিয়ার সমস্যা কী?

ক্লেপটোম্যানিয়া হল একটি মানসিক ব্যাধি যেখানে একজন ব্যক্তির জিনিস চুরি করার ইচ্ছা থাকে। অনেক সময় একজন ব্যক্তিকে সেই জিনিসগুলিও চুরি করতে বাধ্য করা হয় যা তার আসলে প্রয়োজন নেই। প্রায়শই চুরি হওয়া আইটেমগুলির খুব কম মূল্য থাকে যা যে কারোর কেনার ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু সেই ব্যক্তি তা চুরি করেন। এই ধরণের রোগীরাও জানেন না যে এটি একটি মানসিক ব্যাধি।

যদিও ক্লেপটোম্যানিয়া একটি বিরল সমস্যা, এটি অনেক নেতিবাচক সামাজিক প্রভাব ফেলতে পারে। এমন পরিস্থিতি দেখা দেয় যা ব্যক্তিকে মানসিকভাবে আরও বেশি সমস্যায় ফেলে।

কারো ক্লেপটোম্যানিয়া আছে কি না জানবেন কিভাবে?

ক্লেপটোম্যানিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই গোপন এবং লজ্জাজনক জীবনযাপন করেন কারণ তারা মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিতে ভয় পান। ক্লেপটোম্যানিয়ার কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে ওষুধ বা থেরাপি অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

কিছু লক্ষণ দেখেও জানতে পারবেন কারো এই ব্যাধি আছে কিনা?

আপনার প্রয়োজন নেই এমন জিনিস চুরি করার ইচ্ছা

প্রায়ই মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা উত্তেজনা অনুভব করা।

চুরি করে আনন্দ, স্বস্তি বা তৃপ্তি অনুভব করা।

চুরির পরে অপরাধবোধ, অনুশোচনা, আত্ম-ঘৃণা, লজ্জা।

এই মানসিক রোগের কারণ কী?

ক্লেপটোম্যানিয়া কেন হয় তা বিজ্ঞানীরা জানেন না। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারে সমস্যার কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেরোটোনিনের ঘাটতি প্রায়ই আবেগপ্রবণ আচরণের প্রবণ ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!