বিশেষজ্ঞদের কথায় গরম আবহাওয়া ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। আর সেই কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছ।
হঠাৎ করে গরম পড়েছে। দ্রুত গতিতে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। যারা ঘরে থাকে তাদের যেমন অস্বস্তি অনুভূব হচ্ছে যারা নিত্যদিন বাইরে যায় তাদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে সুস্থ আর স্বাভাবিক থাকার জন্য সবথেকে জরুরি নিজের শরীরকে হাইড্রেটেট করে রাখা। তার জন্য প্রয়োজন অপরিযাপ্ত জল। কিন্তু সাদা জল বা সরবত অত্যাধিক পান করা যায় না। পাশাপাশি সেটি আবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও। তাই বিশেষজ্ঞরা জলজ খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের কথায় গরম আবহাওয়া ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। আর সেই কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছ। গরমকালে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত জল খাওয়া পেশী এবং জয়েন্টগুলিকে তৈলাক্ত করে, শক্তির মাত্রা বজায় রেখে এবং বাইরের কার্যকলাপের সময় সহনশীলতা বৃদ্ধি করে শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
শুধু তাইনয়, গরমকালে প্রচুর পরিমাণে জল বা জল জাতীয় খাবার খেলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। আদ্রতা বজায় রাখতে পারে। অকাল বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। আর সেই কারণে শরীরকে সর্বদা হাইড্রেটেড রাখাটাও জরুরি।
গরমকালে শরীর ঠিক রাখতে প্রচুর পরিমাণে শাকপাতা খাওয়া জরুরি। তরমুজ, টমেটো, মূলা, শসা শরীর ঠিক রাখতে পারে। গরমকালে শরীর ঠিক রাখতে ২০ শতাংশ বেশি জল খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের কথায় গরমকালে কতগুলি সুপারফুড রয়েছে যেগুলি জলের অভাব দূর করতে পারে। সেগুলি থেকে প্রায় ৯৫ শতাংশ জল পায় শরীর। পাশাপাশি সেগুলি থেকে ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। কম ক্যালোরির এই খাবারগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খাবারগুলি হল-
টমেটো -এতে ৯৪ শতাংশ জল রয়েছে। পটাসিয়াম এবং লাইকোপিনের মতো ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভর্তি।
তরমুজ- এতে ৯০ শতাংশ জল রয়েছে। এটি পটাসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ।
শাকপাতা- এতে ৯১ শতাংশ জল রয়েছে। আয়রন, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ এবং ফোলেটের মতো পুষ্টিতে ভরপুর।
এই তালিকায় আরও যে খাবরগুলি রয়েছে সেগুলি হল স্ট্রবেরি (৯২ শতাংশ জল) লেটুসে (৯৬ শতাংশ জল), কিউই (৯০ শতাংশ জল), লেবু (৮৮ শতাংশ জল), আঙুর (৯৯ শতাংশ জল), গাজর (৯৯ শতাংশ জল), আনারস (৮৬ শতাংশ জল)।