Health Tips: অতিরিক্ত চিন্তা শরীর আর মনের জন্য খুবই খারাপ , দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য রইল ৭টি অভ্যাস

৭টি কার্যকর উপায় রয়েছে যা আপনাকে অতিরিক্ত চিন্তার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। দুশ্চিন্তা কমিয়ে দিতে পারে।

 

Saborni Mitra | Published : Dec 10, 2023 12:41 PM IST

অতিরিক্ত চিন্তা , অনেক সময়ই দুশ্চিন্তার নামান্তর মাত্র। এই অতিরিক্ত চিন্তা বিষয়টি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি মানসিক শক্তি নষ্ট করে দেয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের জন্যই ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়া খুবই জরুরি। ৭টি কার্যকর উপায় রয়েছে যা আপনাকে অতিরিক্ত চিন্তার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। দুশ্চিন্তা কমিয়ে দিতে পারে। এই অভ্যাসগুলি মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সক্ষম।

মননশীলতার অনুশীলন

মেডিটেশন খুবই জরুরি। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মত ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হওয়া বা আপনার চারপাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাস আপনাকে অতিরিক্ত চিন্তা বা চিন্তার প্রবণতা হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।

অনিশ্চয়তা মেনে নিতে শিখুন

জীবন সহজাতভাবেই অনিশ্চিত। অতিরিক্ত চিন্তা প্রায়ই নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন থেকে উদ্ভূত হয়। জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ হিসেবে অনিশ্চিয়তাকে ডেকে আনে। কোনও জিনিস নিয়েই ভবিষ্যদ্বাণী বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। জীবন নিজের ছন্দেই চলে যায়। তাই অতিরিক্ত চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই।

সমস্যা সমাধানে দক্ষতা

সমস্যাগুলির উপর ফোকাস করুন। প্রয়োজনে ফোকাস পরিবর্তন করতে হবে। সমাধান খোঁজার দিকেই এগিয়ে যেতে হবে। নিজের মন আর মানসিক শক্তিকে সেই দিকেই চালিত করতে হয়েছে। জটিল সমস্যাগুলি সমাধান ধীরে ধীরে করতে হবে। তার জন্য অবশ্যই কিছু সময়ের প্রয়োজন। সময় অনেক কথা বলে। জীবনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা খুবই জরুরি।

ইতিবাচক দিক

জীবনের অনেক কিছুই খারাপ থাকে। তবে জীবনের ইতিবাচকদিকগুলির দিকে ফোকাস করুন। আর সেইদিকেই নিয়মিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। জীবনের যে সময়টা ভাল সেই দিকেগুলি নিয়ে অবসর সময় চিন্তা করুন। তাতে মন ভাল হয়ে যায়।

তথ্য গ্রহণ সীমিত

আপনার ব্যবহার করা সামগ্রী ফিল্টার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত এক্সপোজার অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করতে পারে। তথ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময় সেট করুন এবং সম্ভাব্য উদ্বেগ-উদ্দীপক সামগ্রীর অত্যধিক এক্সপোজার এড়ান।

শারীরিক ক্রিয়াকলাপ

নিয়মিত ব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়। মনের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক কার্যকলাপ এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে, যা স্বাভাবিক মেজাজ উত্তোলক হিসাবে কাজ করে, মানসিক চাপ কমাতে এবং অতিরিক্ত চিন্তার চক্র ভাঙতে সাহায্য করে।

সমর্থন

বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবার, পেশাদারদের সঙ্গে চিন্তাভাবনা উদ্বেগ আদানপ্রদান করুন। তাতে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল হবে। এই ব্যবস্থা যে কোনও মনের অসন্তোষ কাটিয়ে দিতে পারে। এই ব্যবস্থা যে কোনও মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমাতে পারে।

Share this article
click me!