আপনাদের রান্নাঘরে ব্যবহৃত সেই জিনিসগুলোর কথা বলব, যেগুলো ক্যান্সারের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদি আপনার বাড়িতে এই জিনিসগুলি থাকে তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিরতরে সরিয়ে দিন, অন্যথায় আপনাকে পরে অনুতাপ করতে হতে পারে।
ক্যান্সার রোগ বিশ্বে দ্রুত ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এই রোগটি মোকাবেলায় অনেক ধরণের চিকিত্সা তৈরি করা হয়েছে, তবুও ক্যান্সারের নাম শুনলেই সবাই হাঁসফাঁস হয়ে যায়। যখনই কাউকে ক্যান্সারের উপসর্গের কথা বলা হয়, তখনই পুরো পরিবার আতঙ্কের ছায়ায় বসবাস শুরু করে। আজ আমরা আপনাদের রান্নাঘরে ব্যবহৃত সেই জিনিসগুলোর কথা বলব, যেগুলো ক্যান্সারের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদি আপনার বাড়িতে এই জিনিসগুলি থাকে তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিরতরে সরিয়ে দিন, অন্যথায় আপনাকে পরে অনুতাপ করতে হতে পারে।
রান্নাঘরের এসব জিনিস ক্যান্সারের কারণ হতে পারে-
১) পুরানো টিনজাত মশলা-
অনেকে দুই-তিন মাস একসঙ্গে গরম মসলা কিনে রান্নাঘরে রাখেন, কিন্তু সেই মশলাগুলো পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেন না, ফলে নষ্ট হতে থাকে। সবজিতে এমন বাজে মশলা মেশানো খাবারে বিষক্রিয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা পরবর্তীতে ক্যান্সারও হতে পারে। তাই সম্ভব হলে যতগুলো গরম মশলা প্রয়োজন ততটুকুই কিনে রান্নাঘরে রাখুন, তার বেশি নয়।
২) টি ব্যাগ খাওয়াও ক্ষতিকর-
আপনি নিশ্চয়ই টি ব্যাগ দেখেছেন। এতে একটি PCV, ফুড গ্রেড নাইলন এবং ন্যানো প্লাস্টিক রয়েছে। যখন এই চা ব্যাগগুলি গরম জলে ডুবানো হয়, তখন তিনটি যৌগই ভেঙে যেতে শুরু করে। এই কারণে এতে কার্সিনোজেন নামক একটি উপাদান সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই টি ব্যাগের ব্যবহার কমিয়ে দিন।
৩) নন -স্টিক পাত্রে বিপজ্জনক রাসায়নিক-
রান্নাঘরে উপস্থিত অনেক নন-স্টিক বাসন রাসায়নিক ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই জাতীয় রাসায়নিককে পারফ্লুওকটেন সালফেট বলা হয়। এই ধরনের রাসায়নিক শ্যাম্পু, জলরোধী পোশাক, পরিষ্কারের পণ্য এবং নন-স্টিক কুকওয়্যারে পাওয়া যায়। এই ধরনের পাত্রে খাবার রান্না করলে, ধীরে ধীরে এই রাসায়নিকগুলি আপনার শরীরে প্রবেশ করতে থাকে, যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
৪) প্লাস্টিকের লাঞ্চ বক্স ক্যান্সার বাড়ায়-
প্লাস্টিককে শক্ত করতে এতে বিসফেনল এ (BPA) নামক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিক ব্যবহার করে প্লাস্টিকের লাঞ্চ বক্স এবং রান্নাঘরের অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হয়। এসব পাত্রে থাকা শাকসবজি গরম করলে সেই রাসায়নিকটিও দ্রবীভূত হয়ে প্লাস্টিকের মধ্যে মিশে যেতে থাকে, যার ফলে ধীরে ধীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। সেজন্য প্লাস্টিকের পাত্র থেকে দূরত্ব বজায় রাখলে ভালো হবে।