কোভিড -১৯এর পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জানুন ইনফ্লুয়েঞ্জার নতুন টাইপের লক্ষণ আর প্রতিকারগুলি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ভারতে নতুন করে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত্রে সংখ্যা। মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছে ২৬৬ জন। এখন দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৭০। কোভিডের হঠাৎ এই বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে বাড়ছে H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ভাইরাল সংক্রমণ। যা গোটা দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুসারে কোভিড -১৯এর সক্রিয় সংখ্যগুলি এখনও মোট সংক্রমণের ০.০০ শতাংশ। তবে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা প্রায় ৯৮.৮০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বড় বড় হাসপাতালগুলি ও বিশেষজ্ঞদের শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি সভা করছে। যেখানে দেশের ভাইরাল সংক্রমণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন এই বৈঠকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে H3N2 ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করার বিষয়টি।
রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক অডয় শুক্লা জানিয়েছেন, সব ভাইরাল জ্বরের প্রায় একই রকম উপসর্গ থাকে। নাক দিয়ে জল পড়ে। তারপরই হালকা কাশি শুরু হয়। সঙ্গে অল্প জ্বর থাকে। কারও জ্বর একটি বেশি হয়। গায়ে প্রবল ব্যাথা, মাথার যন্ত্রণা হয়। এগুলি সবই কিন্তু সাধারণ উপসর্গ। শুরুকে H3N2 ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিকে আলাদা করে সনাক্ত করা খুবই কঠিন। তাই আক্রান্তকে আলাদা করার জন্য কয়েকটি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আইসিএমআর জানিয়েছে, H3N2 ভাইরাস কোভিড নয়। H3N2 দ্রুত সমক্রমণ ছড়াচ্ছে।
তবে বর্তমানে প্রশ্ন উঠছে H3N2 কতটা উদ্বেগের বিষয় হতে পারেঃ
ভারতে ইনফ্লুয়েঞ্জা বৃদ্ধি আরও আক্রামণাত্ন ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে মনে করছে চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছে জ্বর সেরে গেলেও কাশি তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে জ্বর ও কাশি সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়।
ভারতের কোভিডের ক্ষেত্রে একটি উর্ধ্বমুখী প্রবনা ছিল। যেখানে ৯৭ দিনের মধ্যে মাত্র ৩০০ জু আক্রান্ত ছিল। কিন্তু এই ভাইরাসটি প্রথম থেকেই দ্রুত ছড়াচ্ছে।
অবিরাম ও কয়েক দিন ধরে টানা কাশি হচ্ছে কোভিড-১৯এর মত উপসর্গ রয়েছে এমনই প্রচুর রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। যাদের অধিকাংশ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত। আইসিএমআর বলেছেন এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা A সাবটাইপ H3N2 ভাইরাসের কারণে হয়েছে।
রোগের লক্ষ্ণণঃ
A সাবটাইপ H3N2 ভাইরাসের আক্রান্ত হলে কাশি হবেই। সঙ্গে গলা ব্যাথা, বমিবমি ভাব থাকবে। গায়ে ও মাথায় ব্যাথা থাকবে।
এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অনেককেই আবার আইসিইউতে পাঠানে হচ্ছে। অনেক রোগীর নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কিওলাইটিস হয়েছে।
চিন্তার বিষয়ঃ
য়দিও চিকিৎসকা এখনও চিন্তা করতে নিষেধ করছেন। তবে আক্রান্তদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের জন্য মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও ভিড় এড়িয়ে চলার কথাও বলেছেন। তবে এখনও করোনার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন সংক্রমণ যদি গুরুতর হয় তাহলে নিউমোনিয়া বা অন্যান্য রোগ দেখা দিতে পারে। তার পরিণতি ভাল হয় না বলেও সাবধান করেছেন।
অ্যান্টিবায়োটিকে না
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকা অযথা অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে নিষেধ করেছেন। প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছেন। দিনে প্রয়োজনীয় জল ও পুষ্টিকর খাবার খেতে নির্দেশ দিয়েছেন। ফল ফাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।