পুজোর সময়, শিশুদের পেটেও বেশ ভালো পরিমাণেই বাইরের খাবার যায়।
পুজোর সময়, শিশুদের পেটেও বেশ ভালো পরিমাণেই বাইরের খাবার যায়। কিন্তু যদি লাগাতার পুজোর চারদিন রাস্তার খাবার খেয়ে পেটের গোলমাল শুরু হয়, তাহলে কিন্তু সাবধান হতে হবে।
আপনার শিশু যদি ঘনঘন মলত্যাগ করে এবং সেইসঙ্গে বমি হতে থাকে, তাহলে বেশি দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ওষুধে যেমন কাজ হবে, ঠিক তেমনই বাড়িতেও শিশুর যত্ন নিতে হবে। শিশুকে কী খাবার খাওয়াবেন আর কী বাদ দেবেন, সেগুলি মাথায় রাখা জরুরি।
এমনিতেই মরশুম বদলের সময়ে বাতাসে ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। শিশুরোগ চিকিৎসকদের মতে, প্রচণ্ড গরমে পেটের গোলমাল হতে পারে। আবার বাইরের খাবার থেকে বিষক্রিয়া হয়ে ডায়েরিয়াও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভাইরাল ডায়েরিয়া হওয়ারই আশঙ্কা বেশি থাকে। বারবার তরল মলত্যাগ ছাড়াও মলের সঙ্গে রক্ত পড়া, পেটে ব্যথা এবং বমি হতে পারে ডায়েরিয়ার জন্য। তবে ডায়েরিয়ার সবচেয়ে গুরুতর লক্ষণ হল জলশূন্যতা। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে।
বাড়িতে বাবা-মায়েরা কী ভাবে যত্ন নেবেন? ডায়রিয়া হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। বাড়িতে বানানো নুন-চিনির জল বা ওআরএস খাওয়ানো যেতে পারে। এমন অবস্থায় চিঁড়ে সিদ্ধ করে খাওয়ালে খুব তাড়াতাড়ি কাজ দেয়। আর এই সময়ে বমিভাব থাকেই।
তাই ভাত বা অন্য খাবার খেতে না পারলে, শিশুকে নুন-চিনি দিয়ে সিদ্ধ চিঁড়ে খাওয়াতে পারেন।
অন্যদিকে, ডায়েরিয়ায় প্রোবায়োটিক্স খুব ভালো কাজে দেয়। তাই টক দই দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া দইয়ের ঘোলও দিতে পারেন। তবে দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকলে দেবেন না। ভাত দিলে তার সঙ্গে কোনও রকম ডাল বা তরকারি দেবেন না। নুন, লেবুর রস এবং চিনি দিয়ে ভাত চটকে মেখে তাই খাওয়ান শিশুকে।
শিশুদের ফল, সব্জি খাওয়ানোর আগে বা রান্নার আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। অন্তত মিনিট দশেক জলে ডুবিয়ে রেখে ঘষে ধুতে হবে। শিশুর বয়স পাঁচ বছর বা তার কম হলে জল ফুটিয়ে খাওয়ানোই ভাল। শিশুর শরীরে জলশূন্যতা হয়েছে কি না, তা দেখতে হবে সবার আগে।
জলশূন্যতার লক্ষণ হল, ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া এবং শিশুর মধ্যে আলস্য ভাব, জিভ-ঠোঁট-গালের ভিতরের চামড়া শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। জলশূন্যতার মাত্রা বেশি হলে জল খেতেও অনীহা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এক গ্লাস জলে এক চামচ চিনি ও একচিমটে নুন মিশিয়ে সেই মিশ্রণ খাওয়াতে পারেন শিশুকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।