টনসিলের ব্যথা কমাতে পারে এই খাবার ও পানীয়গুলি, রইল দ্রুত প্রতিকারের উপায়

আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরে নানা রকম সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক, যার ফলে প্রায়ই গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই উপসর্গগুলোকে উপেক্ষা করা সহজ, এই ভেবে যে এগুলো আপনাআপনিই ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু কখনও কখনও এই ধারণার গুরুতর পরিণতি হতে পারে। যদি এই সমস্যাগুলি কয়েক দিন ধরে স্থায়ী হয়, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সৌভাগ্যবশত, গলা ব্যথার অনেক প্রতিকার আমাদের রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। প্রদাহ-বিরোধী এবং আরামদায়ক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ খাবার এবং পানীয় তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে। গরম তরল, যেমন ভেষজ চা বা ঝোল, গলাকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং অস্বস্তি কমাতে পারে। মধু, এর প্রাকৃতিক আরামদায়ক গুণাবলীর জন্য পরিচিত, অতিরিক্ত উপকারের জন্য চায়ে যোগ করা যেতে পারে।

এছাড়াও, দই বা আপেলসসের মতো নরম খাবার খাওয়া গলা ব্যথার জন্য সহজ হতে পারে। কুসুম গরম লবণ জলে গার্গল করা প্রদাহ কমাতে আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লেবু জাতীয় ফল, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, যা আপনাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। এই প্রতিকারগুলি অনুসরণ করে, আপনি আরাম এবং উপশম পেতে পারেন যখন আপনার শরীর অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। সর্বদা আপনার শরীরের সংকেতগুলিতে মনোযোগ দিন এবং যদি লক্ষণগুলি খারাপ হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গরম চিকেন বা ভেজিটেবল স্যুপ পান করলে গলা ব্যথার দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। উষ্ণতা জ্বালা উপশম করে, অস্বস্তি কমাতে এবং দ্রুত আরোগ্য লাভে সাহায্য করে।

মধুর রয়েছে জীবাণুनाশক এবং প্রদাহ-বিরোধী গুণ। তাই মধু সেবন গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে।
 

আদার রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো অনেক গুণ। এটি গলা ব্যথা নিরাময়ে তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে। তাই গলা ব্যথার ক্ষেত্রে অবশ্যই একবার গরম আদা চা চেষ্টা করুন।

লবণ শুধু খাবারেই কাজে লাগে না, এটি আরও অনেক জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে। গলা ব্যথার ক্ষেত্রে, যদি একটু লবণ কুসুম গরম জলে মিশিয়ে গার্গল করা হয়, তাহলে উপশম পাওয়া যায়। গার্গল করার সময় কয়েক চুমুক জলও গ্রহণ করা উচিত। এটি গলায় উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে।