গ্রীষ্মকালে বেশিরভাগ মানুষই ঠাণ্ডা জল পান করা পছন্দ করেন। অনেক সময় মানুষ বাইরে থেকে রোদে এসে ফ্রিজ খুলে ঠাণ্ডা জল পান করে খুশি হয়। তবে আমরা আপনাকে বলে রাখি যে এটি করলে আপনার স্বাস্থ্যের ওর চরম প্রভাব পড়বে।
বাইরে গনগন করছে রোদ। এপ্রিল মাসের শুরুতেই মানুষের চাঁদি ফাটার যোগাড়। তার মধ্যে প্যাচপ্যাচে ঘাম তো রয়েইছে। ফলে গরমে হাসফাঁস দশা মানুষের। এই গরমে একটাই জিনিস একটু স্বস্তি দেয় আমাদের। তাহল ঠান্ডা জল। এক গ্লাস ঠান্ডা জল যেন ধড়ে প্রাণ ফেরায়। বিশেষ বাইরে থেকে তেতেপুড়ে এলে এক গ্লাস ঠান্ডা জল আরাম দেয়।
তাই গ্রীষ্মকালে বেশিরভাগ মানুষই ঠাণ্ডা জল পান করা পছন্দ করেন। অনেক সময় মানুষ বাইরে থেকে রোদে এসে ফ্রিজ খুলে ঠাণ্ডা জল পান করে খুশি হয়। তবে আমরা আপনাকে বলে রাখি যে এটি করলে আপনার স্বাস্থ্যের ওর চরম প্রভাব পড়বে। কারণ ঠাণ্ডা জল পান করলে আমাদের শরীর ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে এবং এর সরাসরি প্রভাব পড়ে হজমে। যার কারণে একজন মানুষের হজমশক্তি ধীর হয়ে যায় এবং নানা ধরনের রোগ তাকে ঘিরে ধরে।
তাই ডাক্তাররাও সবসময় ঠান্ডা জল না পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এর অনেক অপকারিতা আছে, তাই আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে।
অম্লতা
ঠাণ্ডা জল পান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়, কারণ ঠাণ্ডা জল পান করার পর খাবার শরীরে যাওয়ার সময় খুব শক্ত হয়ে যায় এবং এর কারণে অন্ত্র সঙ্কুচিত হয় এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যায়।
হজম সমস্যা
অতিরিক্ত ঠান্ডা জল পান করলে পরিপাকতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া খাবার হজম করতে অসুবিধা হতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং পেট ফাঁপা হওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে।
মাথাব্যথা
অত্যধিক ঠাণ্ডা জল পান করার ফলে মস্তিষ্ক জমে যেতে পারে এবং ঠান্ডা জল মেরুদণ্ডের অনেক সংবেদনশীল স্নায়ুকে ঠান্ডা করে। যার কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়। শুধু তাই নয়, এর কারণে সাইনাস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
কম হৃদস্পন্দনের ঝুঁকি
ঠাণ্ডা জল পান করলে হৃদস্পন্দন কমে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং এটি ভ্যাগাস নার্ভকে প্রভাবিত করে। এমন অবস্থায় জলের তাপমাত্রা কম থাকায় ভ্যাগাস নার্ভ আক্রান্ত হয় এবং হৃদস্পন্দন কম হয়। যার কারণে হৃদরোগ হতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি
এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে ঠাণ্ডা জল পানের ফলে শরীরের চর্বি পোড়ে না এবং চর্বি শক্ত হয়ে যায়। যার কারণে ওজন বাড়তে পারে। এমতাবস্থায় আপনি যদি স্থূলতার সমস্যা এড়াতে চান, তাহলে ঠান্ডা জল পান করা এড়িয়ে চলতে হবে।