Urinary Incontinence: হাঁচি বা কাশির সঙ্গে প্রস্রাব ঝরে পড়ে? রইল অস্বস্তি কাটানোর উপায়

হাঁচি বা কাশির সঙ্গে প্রস্রাব ঝরে যায়। এই রোগেরও চিকিৎসা রয়েছে। জীবনধারা বদলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।

 

হাঁচি বা কাশির সঙ্গে প্রস্রাব ঝরে পড়ে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখী হন অনেক মহিলাই। তারা কেউ এই গোপন রোগের কথা বলেন। কেই আবার মনে করেন বয়সের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু আদৌ তা নয়। হাঁচি বা কাশি এমনকি জোরে হাসির সময়ও প্রস্রাব ঝরে পড়ে। এটি কিন্তু একটি রোগ। ১০০ জনের মধ্যে ৪০ মহিলাই এই রোগে আক্রান্ত। আবার ৪০ উর্ধ্বো মহিলাদের মধ্যে ৫ জনে এক জন আক্রান্ত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। তাই প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের কথায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব কটানোর জন্য বিশেষ করে মহিলাদের প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। শুধুমাত্র মহিলাদের হয় এমনটা নয়, অনেক সময় পুরুষদেরও এই সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু লজ্জার কারণে বা ভুল ধারনার কারণে এই রোগের চিকিৎসা করাতে অনেকেই আগ্রহী নয়। কিন্তু এই রোগও সারে।

হাঁচি বা কাশির সঙ্গে বা জোরে হাসির সঙ্গে প্রস্রাব ঝরে যাওয়া- চিকিৎসা বিজ্ঞানের কথায় এটি ইরিনারি ইনকন্টিনেস্ট (Urinary Incontinence) নামে পরিচিত।

Latest Videos

এটি হওয়ার কারণঃ

মহিলাদের জীবন অনেকগুলি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। সন্তান ধারন, সন্তানের জন্ম দেওয়া, মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া - এগুলি সাধারণত কারণ। একাধিক সন্তানের জন্মের কারণেও এই রোগ হতে পারে। আবার সন্তানের জন্মে দেওয়ার পর মহিলারা যদি প্রয়োজনীয় বিশ্রাম না পায় তাহলে এজাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাদেরও এই রোগ দেখা দিতে পারে। ইউরিন ইনফেকশন থাকলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এজাতীয় সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ প্রথম থেকে চিকিৎসা করালে এই রোগস থেকে সহজেই নিস্তার পাওয়া যায়। আর আপারেশনেরও প্রয়োজন হয় না।

প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বয়সের কারণে এই রোগ হয় এই ধারনা খুবই ভ্রান্ত। কারণ সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ সেরে যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই স্থূলতার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটে অত্যাধিক মেদ জমার কারণে এই সমস্যা হতে পারে। আর সেই কারণে পেটে চর্বি বা মেদ যাতে না জমে তার ওপর জোর দেওয়া জরুরি। অনেক সময়ই প্রসবের সময় মূত্রাশয়ের আঘাতের কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। তাই এগুলি সম্বন্ধে সচেতন থাকা জরুরি। যে মহিলারা ভারী কাজ করেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে।

যাইহোক এবার আসি চিকিৎসা পদ্ধতিতেঃ

ওষুধ রয়েছে। যা চিকিৎসকের পরামর্শে নেওয়া যেতে পারে। এই রোগের জন্য কয়েকটি ব্যায়ামও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কথায় তিন থেকে পাঁচ মাস ব্যায়ামগুলি করলে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকরা এই রোগ বিষয়ে জানার জন্য কতগুলি সাধারণ পরীক্ষা করে দেখেন। তারপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। কিন্তু জীবনধারা বদলও জরুরি। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হয়। বিশেষজ্ঞদের কথায় জীবনধারা পরিবর্তন করলে এই সমস্যা কমে যায়। প্রয়োজনী জল পান জরুরি।

Share this article
click me!

Latest Videos

'এটা কোন মুখ্যমন্ত্রী? হিন্দুদের দায়িত্ব মুসলিমরা নেবে, বাংলাদেশ হয়ে যাবে তো' | Suvendu Adhikari
রাগের মাথায় এ কী করে বসলো স্বামী! দেখলে আঁতকে উঠবেন, চাঞ্চল্য Nadia-এ | North 4 Parganas News Today
'আজ অনুপ্রেরণার ছবি হাওয়া, নেতাজিময় চারিদিক' জোর দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari on Netaji
নেতাজির 'মৃত্যুদিন' ঘোষণা রাহুলের, ক্ষোভ উগরে একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদার | Sukanta on Rahul
‘Mamata Banerjee আর Modi দুজনেই ‘বিভাজনের রাজনীতি করছেন’ বিস্ফোরক মন্তব্য Adhir Ranjan Chowdhury