এই নাভির মাধ্যমেই শিশুর বিকাশ ঘটে এবং এই নাভির মাধ্যমেই একজন গর্ভবতী মহিলা তার সন্তানের সাথে সংযুক্ত থাকে। নাভির কর্ড শিশুর মোট ওজনের ছয় ভাগের এক ভাগ।
প্ল্যাসেন্টা একটি মহিলার শরীরের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, যা গর্ভাবস্থায় শিশুকে রক্ষা করে এবং পুষ্ট করে। এর সাহায্যে শিশু মায়ের পেটে বেঁচে থাকে। এই নাভির মাধ্যমেই শিশুর বিকাশ ঘটে এবং এই নাভির মাধ্যমেই একজন গর্ভবতী মহিলা তার সন্তানের সাথে সংযুক্ত থাকে। নাভির কর্ড শিশুর মোট ওজনের ছয় ভাগের এক ভাগ। আসুন জেনে নিই কিভাবে প্লাসেন্টা শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:
১-প্লাসেন্টা নিজেই শিশুর বিকাশকে উদ্দীপিত করে। এ কারণে শিশুটি মায়ের পেটে বেঁচে থাকে। সুরক্ষার পাশাপাশি এটি পুষ্টি জোগাতেও কাজ করে। এটি শিশুকে অনেক ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।
২-প্লাসেন্টা শরীরে ল্যাকটোজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা মায়ের শরীরে দুধ উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে।
৩-নাভির কর্ড মা এবং শিশুর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করে। মা যা খান না কেন, এর পুষ্টিও আসে পানীয় খাল থেকে। প্লাসেন্টা শিশুর জন্য একটি ফিল্টার হিসাবেও কাজ করে। এটি শুধুমাত্র এটিকে পুষ্ট করে এবং টক্সিনকে ভ্রূণের কাছে পৌঁছাতে দেয় না।
৪-সন্তানের জন্মের কিছু দিন পরে, নাভি শুকিয়ে যায় এবং নিজে থেকে পড়ে যায়। এর কাজ শুধুমাত্র মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর পুষ্টি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করা।
একটি নতুন আবিষ্কার নাভির কর্ডকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মতো, ভারতেও প্লাসেন্টা সংরক্ষণের প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। মুম্বাই, দিল্লি, আহমেদাবাদ এবং জয়পুর সহ সারা দেশে ২৫টিরও বেশি শহরে প্লাসেন্টা ব্যাঙ্কিং চালু হয়েছে।
এটিকে নিরাপদ রাখার একটি বড় সুবিধা হল শিশু সহ পরিবারের অন্যান্য গুরুতর অসুস্থ সদস্যদেরও চিকিৎসা করা যেতে পারে। আম্বিলিক্যাল কর্ড স্টেম সেলের সাহায্যে ডাক্তাররা মারাত্মক রোগের চিকিৎসায় সফল হয়েছেন। এই কোষগুলি প্লাসেন্টা ব্যাঙ্কে বহু বছর ধরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ভারতে এই ধরনের ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার খুব বেশি দিন হয়নি, কিন্তু সুদূরপ্রসারী সুবিধা বিবেচনা করে তাদের প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। অনেক শহরে, শিশুর নাভির কোষগুলিকে বাঁচাতে প্লাসেন্টা ব্যাঙ্কগুলিতে একটি ভাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। স্টেম সেলের সাহায্যে রক্ত সম্পর্কিত রোগগুলি কার্যকরভাবে চিকিত্সা করা হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়ার মতো বিপজ্জনক রোগে এটি খুবই উপকারী। অন্যান্য রোগে এর ব্যবহার নিয়ে গবেষণা চলছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।