Malaria: সর্দি জ্বর নাকি ম্যালেরিয়া! কিভাবে সনাক্ত করবেন শরীরে কোন রোগ বাসা বেঁধেছে

ভারতেও প্রতি বছর ম্যালেরিয়ার ঘটনা ঘটে, যদিও বিগত কয়েক বছরে এই ক্ষেত্রে কমেছে। কিন্তু আজও বর্ষাকালে এবং প্রচণ্ড গরমে এই রোগ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

 

deblina dey | Published : Apr 25, 2024 6:34 AM IST

World Malaria day: ২০২১ সালে, বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ কোটি। ৫ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি থেকে আপনি ধারণা করতে পারেন মশার কামড়ের ফলে সৃষ্ট এই রোগটি কতটা বিপজ্জনক। এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য, ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত হয়। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করা বেশ সহজ, কিন্তু এখনও কোটি কোটি মানুষ এই রোগে মারা যায়। ভারতেও প্রতি বছর ম্যালেরিয়ার ঘটনা ঘটে, যদিও বিগত কয়েক বছরে এই ক্ষেত্রে কমেছে। কিন্তু আজও বর্ষাকালে এবং প্রচণ্ড গরমে এই রোগ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, কয়েক দশকের পুরনো এই রোগ নিয়ে মানুষের মনে বিভ্রান্তি রয়েছে। সমস্যা হল মানুষ এর লক্ষণ সনাক্ত করতে পারে না। বর্ষা ও গরমের মৌসুমে আরও অনেক রোগ দেখা দেয়। এর মধ্যে ম্যালেরিয়া, ঠাণ্ডা বা সাধারণ ভাইরাল উপসর্গ শনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এই কারণে, ম্যালেরিয়া বেশ দেরিতে ধরা পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে, এই বিভ্রান্তির কারণে, এই রোগ মৃত্যুরও কারণ হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার সর্দি, কাশি বা ম্যালেরিয়া আছে কিনা তা জানা আপনার জন্য জরুরি? আসুন জেনে নেই চিকিৎসকদের কাছ থেকে।

কিভাবে বুঝবেন এটা ম্যালেরিয়া?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যালেরিয়ার বৈশিষ্ট্য হল হাই ফিভার বা জ্বর থাকে, সেই সঙ্গে কাঁপুনি থাকে সারা শরীরে। বেশ কিছু আক্রান্ত খুব ক্লান্ত থাকে এবং বমি ও ডায়রিয়াতেও ভোগে। লক্ষণগুলি গুরুতর হয়ে উঠলে, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং ক্রমাগত কাশি হয়। যেখানে, সাধারণ সর্দি বা ভাইরাল জ্বরে, শ্বাসকষ্ট বা বমি এবং ডায়রিয়া দেখা যায় না। স্বাভাবিক জ্বরে মাংসপেশিতে ব্যথা বা সামান্য ঠাণ্ডা থাকে।

ম্যালেরিয়া কিভাবে ছড়ায়?

এটা সবাই জানি যে ম্যালেরিয়া মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়, তবে এর বিস্তারের আরও অনেক উপায় রয়েছে। গর্ভবতী মহিলা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে তার সন্তানের মধ্যেও এই রোগ ছড়াতে পারে। রক্ত সঞ্চালনের সময়ও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তবে, আগের মতো ভারতে ম্যালেরিয়ার আশঙ্কা আর নেই। ম্যালেরিয়া এবং এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা কমছে, তবে এখনও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

চিকিৎসা কি-

ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনও পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে ভ্যাকসিনটি আফ্রিকান দেশগুলোর মানুষের জন্য ব্যবহার করা হয়। এর কারণ আফ্রিকার দেশগুলিতে ম্যালেরিয়ার আক্রান্তর সংখ্যাটা অনেক। ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। মেডিক্যাল টেস্টের মাধ্যমে এই রোগ সনাক্ত হয় এবং রোগীর শারীরিক উপসর্গ অনুসারে ওষুধ দেওয়া হয়। ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার জন্য রয়েছে অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল ওষুধ। কোনও ম্যালেরিয়া পরজীবী শরীরে রোগ সৃষ্টি করেছে এবং কি কি লক্ষণ রয়েছে তার ভিত্তিতে ওষুধ দেওয়া হয়। একজন মহিলা গর্ভবতী হলে বিভিন্ন ওষুধ আছে।

Share this article
click me!