আফ্রিকায় বিশ্বের বৃহত্তম সোনার খণির কাছে পাওয়া নমুনাগুলি বিশ্লেষণ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তারা এখানে প্রাচীনতম হিমবাহ খুঁজে পেয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা ২৯০ কোটি বছরের পুরনো একটি হিমবাহের সন্ধান পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন, আফ্রিকার সোনার খনির কাছে এই হিমবাহটি পাওয়া গিয়েছে। এই গবেষণাটি Geochemical Perspectives Letters-এ প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাপওয়াল ক্র্যাটন এলাকায় এই হিমবাহের নমুনাগুলিকে পঙ্গোলা সুপারগ্রুপের অংশ বলে মনে করা হয়, যা মেসোআর্চিয়ান যুগে ছিল।
যে দলটি এই হিমবাহটিকে আবিষ্কার করেছে তার নেতৃত্বে ছিলেন জোহানেসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাক্সেল হফম্যান এবং ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যারা আফ্রিকায় বিশ্বের বৃহত্তম সোনার খণির কাছে পাওয়া নমুনাগুলি বিশ্লেষণ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তারা এখানে প্রাচীনতম হিমবাহ খুঁজে পেয়েছেন।
গবেষকরা প্রথমে জলবায়ু পরিস্থিতি নির্ধারণের জন্য মূল নমুনাগুলি বিশ্লেষণ করেন, যা থেকে জানা যায় যে এখানে শিলা জমা হওয়ার সময় এখানকার জলবায়ু অবশ্যই শীতল ছিল। দলটি এখানে সবচেয়ে পুরানো জীবাশ্ম হিমবাহী মোরাইন আবিষ্কার করেছে বলে দাবি করেছে, যা একটি হিমবাহ দ্বারা ফেলে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে হিমবাহের উপস্থিতি আমাদের পৃথিবীর জলবায়ু এবং ভূগোল সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে, প্রফেসর অ্যাক্সেল হফম্যান আশঙ্কা করেছিলেন যে সেই সময় পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে তুষার বলের মতো ছিল, কারণ সে সময় কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেনের মতো গ্যাস কম ছিল। বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, ওই সময় গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে বেশিরভাগ অংশ হিমায়িত হয়ে গিয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে গবেষণা এখনও চলছে, তবে এর থেকে পাওয়া যে কোনও সূত্রই খুব আকর্ষণীয় হবে তা আর বলার জায়গা রাখে না, এই গবেষণা থেকে নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে সে সময় পৃথিবী কেমন ছিল?