এটি সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ শেষ করার পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে পৃথিবীর উপরে আকাশে আসছে। মজার বিষয় হল এটি ভারতের অনেক রাজ্য-সহ বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে দেখা যায়।
যারা জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী তাদের জন্য আজ রাতে একটি খুব আকর্ষণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। ৫০ হাজার বছর পর আজ আকাশে দেখা যাবে সবুজ ধূমকেতু। ১ ফেব্রুয়ারী রাতে, এই C/2022 E3 (ZTF) ধূমকেতু পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে যাবে। এটি সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ শেষ করার পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে পৃথিবীর উপরে আকাশে আসছে। মজার বিষয় হল এটি ভারতের অনেক রাজ্য-সহ বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে দেখা যায়।
যারা জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী তাদের জন্য আজ রাতে একটি খুব আকর্ষণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। ৫০ হাজার বছর পর আজ আকাশে দেখা যাবে সবুজ ধূমকেতু। ১ ফেব্রুয়ারী রাতে, এই C/2022 E3 (ZTF) ধূমকেতু পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে যাবে। এটি সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ শেষ করার পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে পৃথিবীর উপরে আকাশে আসছে। মজার বিষয় হল এটি ভারতের অনেক রাজ্য-সহ বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে দেখা যাবে।
৫০ হাজার বছর আগে দেখা গিয়েছিল-
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকা সত্ত্বেও ধূমকেতুটির দূরত্ব হবে ৪২ মিলিয়ন কিমি, তবে মহাবিশ্বের স্কেলে এই দূরত্ব খুবই কম। আমরা যদি সূর্যের চারপাশে এর কক্ষপথ দেখি, এটি একটি ৫০ হাজার বছর দীর্ঘ কক্ষপথ। তার মানে ৫০ হাজার বছর আগে শেষবারের মতো পৃথিবীর এত কাছে এসেছে। তখন নিয়ান্ডারথালরা পৃথিবীতে বাস করত এবং আধুনিক মানুষ গড়ে ওঠেনি।
ধূমকেতু সবুজ কেন?
সাধারণভাবে, সব ধূমকেতু সবুজ হয় না। তাদের রঙ পিছনে ছেড়ে দেওয়া আলো দ্বারা নির্ধারিত হয়। এটি ধূমকেতুতে উপস্থিত অণুর ধরণের উপর নির্ভর করে। অনেক ধূমকেতুর রঙ নীল বা লাল, যা তাদের মধ্যে উপস্থিত অণুর কারণে হয়। ১৯৯৭ সালে দেখা হেল-বপকে এখন পর্যন্ত বিখ্যাত সবুজ ধূমকেতু বলা হয়। এছাড়া ২০০৬ সালে ম্যাকনট নামের বিখ্যাত সবুজ ধূমকেতু প্রথম দেখা যায়।
সবুজ ধূমকেতু কিভাবে দেখতে পাবেন?
আজ রাতে এই সবুজ ধূমকেতু দেখতে আকাশ পরিষ্কার হতে হবে। তবে এই ধূমকেতুটি যতটা আশা করা হয়েছিল ততটা উজ্জ্বল নয়। ইন্ডিয়া টুডে-র এক প্রতিবেদনে, বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের বিজ্ঞানী শিল্পী গুপ্তা বলেছেন, এটি পরিষ্কার এবং খালি চোখে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কম। এর জন্য একটি টেলিস্কোপ লাগবে।
শিল্পী গুপ্তা বলেন, অন্ধকার ঘন হলে এবং আকাশ পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত থাকলে সবুজ ধূমকেতু আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। আলো দূষণমুক্ত আকাশের জন্য শহুরে আলো থেকে দূরে সরে যাওয়াই ভালো হবে। খবরে বলা হয়েছে, এই সবুজ ধূমকেতুটি জ্যোতির্বিদ্যা অ্যাপেও দেখা যাবে।