উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চিকিৎসকেরা, উচ্চ রক্তচাপকে সাইলেন্ট কিলার বলে থাকেন।হাইপারটেনশন কখন আপনার শরীরে প্রবেশ করেছে তা বোঝার আগেই শরীরে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে অজান্তেই। তবে সামান্য কিছু রদবদল আনলেই বাঁচতে পারবেন রোগের হাত থেকে।
শীত প্রায় দোড়গোড়ায় চলেই এসেছে। শীতের মরসুমে আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরেরও পরিবর্তন দেখা যায়। এবং সেই কারণেই খাবারেরও পরিবর্তন দরকার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা রোগ দানা বাঁধে। বিশেষত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চিকিৎসকেরা, উচ্চ রক্তচাপকে সাইলেন্ট কিলার বলে থাকেন। এই রোগ শরীরে একবার বাসা বাঁধলে নিমেষে শেষ হয়ে যাবে জীবন। হাইপারটেনশন কখন আপনার শরীরে প্রবেশ করেছে তা বোঝার আগেই শরীরে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে অজান্তেই। তবে নিত্যদিনের জীবন যাপনে সামান্য কিছু রদবদল আনলেই বাঁচতে পারবেন মারণ রোগের হাত থেকে। মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়ে ব্রেকফাস্টের অতি সামান্য ৫ খাবারেই রোগ থাকবে আপনার বশে।
ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার।প্রাতঃরাশে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য সেরা বিকল্প। ব্রেকফাস্টে ওটস খাওয়া খুবই ভাল। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য দারুণ কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপ বেশি থাকলে সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ওটসের মধ্যে সোডিয়াম কম থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য দারুণ কার্যকরী। ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ভাল তেমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ডিমের সাদা অংশ উচ্চ রক্তচাপের জন্য ভাল। চাইলে হালকা শাক-সব্জি মিশিয়েও খেতে পারেন।
দই স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী সেকথা সকলেই জানেন, শরীর-স্বাস্থ্যই শুধু নয়, উচ্চ রক্তচাপের জন্য ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ফল দিয়ে দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এটি খাওয়ার সময় যতটা সম্ভব চিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। বাজারের কেনা দইয়ের বদলে ঘরেপাতা টক দই শরীরের জন্য বেশি উপকারী।বাদাম এবং নানা ধরনের বীজ খাওয়াটা শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বাদামে যেমন ফ্যাট থাকে,তেমনই প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। এছাড়াও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ আখরোট উচ্চ রক্তচাপের জন্য ভালো। ব্রেকফাস্টের জন্য লো ফ্যাটযুক্ত দুধ বা বাদাম খেতে পারেন। কুমড়োর বীজ, স্কোয়াশ বীজ, পেস্তা, বাদাম, কাজু এবং আখরোট উচ্চ রক্তচাপ কমাতে খুব উপকারী। কলা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। কলায় সোডিয়াম না থাকার কারণে এটি হৃদরোগ কমাতেও সহায়তা করে। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এবং সোডিয়াম কম থাকা ডায়েট উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।