মহুয়া গাছ (Mahua Tree) থেকে মদ তৈরির রীতি চলে আসছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে। তবে, গত কয় বছরে মহুয়া গাছ (Mahua Tree) থেকে মদ (Liquor) তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল।
এক সময় মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ওডিশা, ছত্তিসগড় ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা গভীর জঙ্গলে ঢাতা ছিল। চারিদিকে ছিল অরণভূমি। সে সময় মহুয়া (Mahua) বলে একটি গাছ দেখা যেত। এই গাছের ফুল থেকে নেশা করতে সে সময়ের মানুষজন। পূরাণ গ্রন্থে উল্লেখ মিলেছে সেই সকল মহুয়া গাছের। এখন সময় বদলেছে। সেভাবে আর মহুয়া গাছের দেখা মেলে না। তবে, মধ্যপ্রদেশের কিছু জায়গায়, এখনও আছে সেই সকল গাছ (Mahua Tree) । এখনও মহুয়া গাছ থেকে মদ তৈরির রীতি চলে আসছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে। তবে, গত কয় বছরে মহুয়া গাছের ফুল থেকে মদ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এই মদ বিক্রি করে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ জীবিকা নির্বাহ করত। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল মহুয়া মদের ওপর।
এবার মহুয়া আর নিষিদ্ধ নয়। ‘হেরিটেজ লিকার’-এর তকমা পেতে চলেছে মহুয়া। মহুয়া গাছ থেকে তৈরি মহুয়া মদ পাচ্ছে বিশেষ সম্মান। যা এক সময় নিষিদ্ধ ছিল, এখন তা হতে চলেছে হেরিটেজ লিকার। এবার এই মহুয়া মদকেই হেরিটেজ-এর তকমা দিল সরকার। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) নিজেই জানালেন সে কথা। তিনি জানা, শীঘ্রই একটি নতুন আবগারি নীতি চালু হতে চলেছে। এ রাজ্যে ঐতিহ্যগত উপায়ে মহুয়া গাছের ফুল থেকে মদ (Liquor) তৈরি করা হয়। এই মদ এবার বিক্রিতে আইনত সম্মতি দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: Kitchen Hacks- শীতকালেই এই উপায়ে সারা বছরের জন্য স্টক করুন মটরশুঁটি, নষ্ট হবে না সহজে
আরও পড়ুন: Morning Health Tips- ঘুম চোখ খুলেই একগ্লাস লেবুর জল, জানেন এর ঠিক কতটা উপকার
গ্রীষ্ককালীন গাছ হল মহুয়া। মধ্য ও উত্তর ভারতে এই গাছ দেখা যায়। এই গাছ থেকে বহু বছর ধরে মদ (Liquor) তৈরি হয়। মাঝে সরকারের নিষেধাজ্ঞার জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল এই মদ তৈরি। আইনী হস্তক্ষেপের জন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশকে সমস্যায় পড়তে হয়। বেশ কিছু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত মহুয়া মদ (Mahua Tree) তৈরি করে। এবার তাদের জন্য সুখবর। সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিতে চলেছে এই ঐতিহ্যবাহী মদকে। এই নেশা দ্রব্যটি বৈধ ঘোষণা হওয়ায় সুখের দিন দেখতে চলেছেন তারা। নতুন আবগারি নীতিতে মহুয়া মদকে ‘হেরিটেজ’ মদের তালিকা ভুক্ত করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। এমনকী, জানা গিয়েছে এবার এই মদ সরাসরি ক্রেতাদের বিক্রি করা যাবে। ফলে, যে সকল আদিবাসীরা এই মদ বিক্রি করে সংসার চালাতেন তারা এবার সুখের দিন দেখতে চলেছেন।