শীতের মরশুমে বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে খাওয়া দাওয়া থেকে পোশাক- নজর থাক সর্বত্র, রইল বিশেষ টোটকা
ক্রমে কমে চলেছে ঠান্ডার পারদ। কলকাতায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের এই আমেজ একদিকে যেমন উপভোগ করছেন শহরবাসী, তেমনই কেউ কেউ রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। শীতের মরশুমে বাচ্চার থেকে বয়স্ক সকলেই নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগে থাকেন।
এই সময় বাচ্চাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন সকলে। শীতের মরশুমে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ফ্লু, কানের সংক্রমণ থেকে শুরু করে পেটের সংক্রমণের মতো সমস্যায় ভোগে বাচ্চারা। শীতের মরশুমে বাচ্চাকে সুস্থ রাখা প্রতিটি মা-বাবার কাছে চ্যালেঞ্জের বিষয়। তাই তাদের খাওয়া দাওয়া থেকে পোশাক -সর্বত্র রাখতে হয় বিশেষ নজর।
এই সময় অনেক বাচ্চাই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ফ্লু-র সঙ্গে হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন। এর সঙ্গে কারও কারও ত্বকে দেখা দেয় সমস্যা। শীতের মরশুমে বচ্চাকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস। বাচ্চাকে শীতের মরশুমে সুস্থ রাখতে নিন বিশেষ পদক্ষেপ। বাচ্চার জীবনযাত্রায় আনুন এই কয়টি পরিবর্তন। শীতের সময় জ্বর থেকে যে কোনও সংক্রমণ থেকে সে পাবে মুক্তি।
শীতের সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না। সর্দি, কাশি থেকে ঠান্ডা লেগে নানান সংক্রমণের সমস্যায় ভোগে বাচ্চারা। তবে, তাকে সুস্থ করতে না জেনে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়। অ্যান্টিবায়োটিক অধিক ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
শিশুকের রোজ পর্যান্ত জল পান করান। শীতের সময় ঠান্ডা লাগার কারণে অনেক বাচ্চাই জল খেতে চায় না। এর থেকে শরীরে জলের অভাব ঘটে। আজ জলের অভাব হলে বাচ্চার নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশনের কারণে অধিকাংশ বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই শীতের মরশুমে নিশ্চিত করুন বাচ্চা পর্যাপ্ত জল পান করছে কি না।
বাচ্চার শীতের সময় ভাজা খাবার কম খাওয়ান। অধিকাংশ বাচ্চাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাস্তা, বার্গার ও বিভিন্ন ভাজা খাবার খেতে পছন্দ করে। এতে বাচ্চার শারীরিক জটিলতা বাড়তে থাকে। এই সময় বাচ্চকে ভুট্টা সেদ্ধ, বাদাম, সবজি ও ফলের মতো খাবার খাওয়ান। এর সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম রাখুন তালিকাতে। প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
বাচ্চাকে রোজ সুর্যালোকে নিয়ে যায়। এই সময় অনেকেই বাচ্চাকে গৃহবন্দী করে রাখেন। এই ভুল করবেন না। শারীরিক ভাবে অ্যাক্টিভ না থাকলে বাচ্চার নানান জটিলতা বাড়তে থাকবে। বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে চাইলে রোজ তাকে বাইরে নিয়ে যান। এতে সে শারীরিক ও মানসিক উভয় ভাবে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা।
বাচ্চার শরীর সুস্থ রাখতে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করুন। এই সময় বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক না থাকলে সে বারে বারে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই এমন খাবার খাওয়ান যাতে বাচ্চার শরীর থাকে সুস্থ। সঙ্গে রোজ ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। সঠিক বিশ্রাম সুস্থ রাখবে বাচ্চাকে।
পনির, মাংস, সয়া, ছোলা থেকে দুধের মতো পুষ্টিকর উপাদান যুক্ত করুন বাচ্চার খাদ্যতালিকায়। এই সময় বাচ্চার খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রোটিনে পূর্ণ খাবার। এতে বাচ্চার শরীর থাকবে সুস্থ। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। বাচ্চার শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। এতে মিলবে উপকার।
এই সময় সোয়েটার ও টুপি ছাড়া যেন বাচ্চা যেন বাইরে বের না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। সঠিক পোশাক ছাড়া বাইরে বের হলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। বাচ্চার শরীর সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
এই সময় বাচ্চাকে কোনও রকম সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে আমলকি খাওয়াতে পারেন। এতে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোচিন আছে। খাওয়ান আদা। এটি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পূর্ণ। খাওয়ান নিমপাতা। এতে বাচ্চার শরীর থাকবে সুস্থ। মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস।