আপনার সন্তান অন্য শিশুদের মারধার করে? বন্ধ করার জন্য রইল ৬টি টিপস

শিশু সন্তানকে বোঝা অত্যান্ত কঠিন। আর সন্তানের আচরণ যদি স্বাভাবিক না হয় তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে। তবে তা সমাধানের ৬টি উপায় রইল।

 

আপনার সন্তান কি অন্য শিশুদের ওপর নির্দয় হয় বা তাদের মারধর করে? এটি কিন্তু শক্তিশালী আবেদ বা অনুভূতি। ছোটবেলা থেকেই এজাতীয় আচরণ বন্ধ করা জরুরি। কারণ যদি বন্ধ করা না হয় তাহলে আপনার সন্তানের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ধীরে ধীরে আপনার সন্তান অমানবিক বা অসামাজিক হয়ে যেতে পারে। এটি তার বন্ধু মহল তৈরির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মনে রাখবেন কোন শিশুই কিন্তু ইচ্ছেকৃতভাবে অন্য শিশুর প্রতি কঠোর বা নির্দয় আচরণ করে না। এই শিশুর আচরণ মূলত তৈরি হয় তার চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা থেকে। কোন শিশু যদি অবহেলিত বা পিছিয়ে পড়ে অন্যদের তুলনায় তখন সে অন্য শিশুদের প্রতি নির্দয় হয় যায়। নয়তো নিজেকে আলাদা করে রাখে। দুটোই কিন্তু শিশুদের বিকাশের জন্য ভতিকারণ।

শিশুদের অল্প বয়স থেকেই এই মানসিকতা বিকাশ করে। তাই সঠিক সময় সঠিক পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে। তবে শিশুর এই জাতীয় আচরণ দেখে অপনি কখনই হতাশ হয়ে তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন না। তাহলে মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করাই শ্রেয়। সন্তান কিন্তু সর্বদা তার বাবা মা কেই রোল মডেল হিসেবে দেখে। আর সেই কারণেই আপনার জন্য রইল কতগুলি টিপসঃ

Latest Videos

১. নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন

সন্তান কঠিন আচরণ করে তখন সবার আগে অপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। কেউ নালিশ করলে বা চোখের সামনে দেখতে রেগে যাবেন না। প্রয়োজনে সেখান থেকে কয়েক মুহূর্তের জন্য সরে যান। তারপর আর সন্তানের কাছে ফিরে এসে ঠান্ডায় মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুনয

২. কোমল কথাবার্তা

নিজেকে সর্বদাই বলুন আমার সন্তানের নিখুঁত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর সন্তানের খারাপ আচরণ দেখে সকলের সামনে তাকে না বকাই শ্রেয়। পরে দুজনে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি আলোচনা করতে দেখবেন সমাধানের পথ অবশ্যই বার হবে।

৩. শাস্তি দেবে না

সন্তানের ভালো করার জন্য ভুলেও সন্তানকে শাস্তি দেবেন না। এই বিষয় শাস্তি না দেওয়াই শ্রেয়। তবে সন্তানের ভুলটা অবশ্যই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিন। সন্তানকে শাস্তি দিলে বা লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

৪. সন্তানকে পর্যবেক্ষণ করুন

সন্তানকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করুন। সন্তান কখন রেগে যাচ্ছে তা খেয়াল রাখার চেষ্টা করুন। সন্তানের আচরণের পরিবর্তন হওয়াটাকে খেয়াল করুন। নিজে একা একা সন্তানের চরিত্র বিশ্লেষণ করুন। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।

৫. সহযোগিতা

সন্তানকে সর্বদা সাহায্য করুন। তার সঙ্গে সময় কাটান। খেলাধূলা করুন। অতিরিক্ত সময় দিলে তবেই দেখবেন সন্তানের উপকার হবে। সন্তানের পছন্দ আর অপছন্দ বোঝার চেষ্টা করুন।

৬. সন্তানের জন্য সীমা নির্ধারণ করুন

আপনার হতাশা কিন্তু সন্তানের জন্য খারাপ হতে পারে। আর সেই কারণ সন্তানের জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করুন। জানুন কারও সন্তানই নিখুঁত নয়। প্রত্যেকের মধ্যেই ভালো খারাপ থাকে। তাই আপনার সন্তানের যেটা ভাল সেটা সকালের সামনে বিশেষ করে সন্তানের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করুন।

Share this article
click me!

Latest Videos

এবার ট্যাব কেলেঙ্কারির শিকার হলো গঙ্গাসাগরের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা! চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা এলাকায়
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য, কী বললেন তিনি, দেখুন সরাসরি
‘তৃণমূল কেমিক্যাল দিয়ে আমায় মারার প্ল্যান করছে’ তৃণমূলের চক্রান্ত ফাঁস করলেন অর্জুন সিং! দেখুন
ফের ইডির ভয়াল থাবা! মধ্যমগ্রাম কাঁপলো ইডির দুঃসাহসিক অভিযানে, দেখুন | North 24 Parganas | ED Raid
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া, কী বলছেন, দেখুন সরাসরি