মুখে অবাঞ্ছিত লোম মানেই তা স্বাভাবিক সৌন্দর্য কে নষ্ট করে দেয়। হরমোনের ভারসাম্যতার জন্যই প্রধাণত এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষ শরীরে টেস্টোস্টেরন নামে এক বিশেষ ধরণের হরমোন রয়েছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হরমোনের পরিমান কম থাকে পুরুষদের বেশি। তবে মহিলাদের শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলেই এই ধরনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এটি একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক মহিলারাই পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করে থাকেন।
আরও পড়ুন- এই মরশুমে অবশ্যই খান আমলকি, জেনে নিন এর গুনাগুণ
এছাড়া হেয়ার ফলিকলের সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি পেলেও অতিরিক্ত লোম গজানোর সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তবে জেনে নেওয়া যাক এই সমস্যার সমাধানের জন্য কয়েকটি ঘরোয়া নিয়ম। পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করানোটাই এই সমস্যার সমাধান নয়। সবার ত্বকে সমান হয় না, তাই অনেক সময়েই থ্রেডিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। সাময়িকভাবে মুক্তি পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। সবার তাই কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই মুখে লোমের ঘনত্ব আপনি কমিয়ে ফেলতে পারবেন সহজেই।
আরও পড়ুন- নিয়মিত কম ঘুমাচ্ছেন, তবে আপনি সম্মুখিন হতে চলেছেন এই মারাত্মক সমস্যাগুলির
ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে মাথায় রাখতে হবে, চটজলদি এই সমস্যার সমাধান হবে না। এর জন্য একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে ত্বকের। গুঁড়োহলুদ ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে সার্কুলার মোশনে মুখে লাগাতে হবে। সপ্তাহে চারদিন এই একই পদ্ধতিতে এটি ব্যবহার করলে মুখে অবাঞ্ছিত লোমের বৃদ্ধি অনেকটাই কমে আসে। একইভাবে চিনি ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে নিয়ে, সেই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে শুনিয়ে নিন। পরে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই পেস্টটি ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে এই সমস্যা থেকে সমাধান হয়ে যাবে কয়েক মাসের মধ্যেই।