ক্ষমা চাওয়া দুর্বলতার পরিচয় নয়। নিজে ভুল বা অন্যায় করলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া দৃঢ় চরিত্রের পরিচয় দেয়। কিন্তু সবসময় ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়। তাহলে আবার অন্যরা দুর্বল ভেবে বসতে পারে।
Soumya Gangully | Published : Dec 12, 2024 1:16 PM IST / Updated: Dec 12 2024, 08:34 PM IST
ক্ষমা চাইবেন কিন্তু কোনওভাবেই আপনার সম্মান নষ্ট হবে না, কীভাবে সম্ভব হবে?
ক্ষমা চাওয়া মানেই ছোট হওয়া বা সম্মানহানি নয়। আত্মসম্মান নষ্ট না করেও ক্ষমা চাওয়া যায়, বলছে চাণক্য নীতি।
বিনয় কখনও দুর্বলতার পরিচয় নয়, পরিণত মানসিকতার প্রমাণ দেয়, বলছে চাণক্য নীতি
চাণক্য নীতি অনুসারে, বিনয়ের মধ্যেই আসল শক্তি নিহিত থাকে। কেউ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে দুর্বলতা প্রমাণিত হয় না, বরং পরিণত মানসিকতা প্রমাণিত হয়।
নিজে কোনও ভুল না করলে কখনও ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়, তাতে সম্মান নষ্ট হয়
চাণক্য নীতি অনুসারে, কোনও ব্যক্তি যদি ভুল না করেন, তাহলে ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়। এসব ক্ষেত্রে ক্ষমা চাইলে সম্মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চাণক্য নীতি অনুসারে, নিজে ভুল করলেও, ক্ষমা চাওয়ার সময় আত্মসম্মানের কথা মাথায় রাখা উচিত।
কোনও ভুল বা অন্যায় করার পর ঠিক কোন সময়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত? জেনে নিন চাণক্য নীতি
চাণক্য নীতি অনুসারে, রাগের মাথায় কখনও ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়। সেই সময় ঠিকমতো কথা বলা যায় না। মাথা ঠান্ডা হলে ভালোভাবে কথা বলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত।
আপনার কথায় অন্য কেউ আঘাত পেলে তাঁর মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করা উচিত
পণ্ডিত চাণক্য সবসময় সম্পর্কে বোঝাপড়া, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মানের উপর জোর দেন। তাঁর মতে, যাঁর কাছে ক্ষমা চাইছেন, তাঁর মানসিক অবস্থা বুঝে সেই অনুযায়ী কথা বলা উচিত।
নিজের ভুল স্বীকার করলেই যে সবসময় ক্ষমা পাওয়া যাবে, সবসময় এমন না-ও হতে পারে
চাণক্য নীতি বলছে, কোনও ব্যক্তি নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেই যে সবসময় অপরজন ক্ষমা করে দেবেন, এমন হয় না। ক্ষমা চাইলে আলোচনা অন্যদিকে মোড় নিতে পারে বা পুরনো কথা ফের শুরু হতে পারে। ফলে মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত।
ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি নিজের ভুল সংশোধন করে নেওয়ার চেষ্টাও করা উচিত
চাণক্য নীতি অনুসারে, বারবার একই ভুল করে ক্ষমা চাইলে সম্মান বজায় থাকে না। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং ভুলের পুনরাবৃত্তি না করাই সম্মানজনক।