আদালতে ডিভোর্স কেস ফাইল করার আগে জেনে নিন এই নিয়মগুলি সম্পর্কে, তবেই মিলবে বিবাহবিচ্ছেদ

হিন্দু বিবাহ আইনে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ৮টি ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দাম্পত্য জীবনে ৮ ধরনের সমস্যার মধ্যে যে কোনো একটি থাকলে তার ভিত্তিতে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করা যেতে পারে।

হিন্দুধর্মে, বিবাহকে সাত জন্মের সম্পর্ক হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং বলা হয় যে শুধুমাত্র ভগবানই একটি দম্পতি নির্ধারণ করে। এমন পরিস্থিতিতে, প্রত্যেকেরই তাদের জীবনসঙ্গীর থেকে বিশ্বাস, ভাবাসা, সম্মান প্রত্যাশা করেন। তবে তাল কাটে অনেক ক্ষেত্রেই। বিয়ের পর অনেক সময় ডিভোর্স নিতে হয়, কারণ স্বামী স্ত্রী দুজনেই পৃথক থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কোন কারণে ডিভোর্স বৈধ এবং আদালত আপনার সিদ্ধান্তে স্ট্যাম্প দেয়?

হিন্দু বিবাহ আইনে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ৮টি ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দাম্পত্য জীবনে ৮ ধরনের সমস্যার মধ্যে যে কোনো একটি থাকলে তার ভিত্তিতে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করা যেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ভিত্তিগুলো কী কী?

Latest Videos

হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫-এ বিবাহ ভেঙে দেওয়ার কারণ:

হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫-এর অধীনে বিবাহ ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া দেওয়া হয়েছে, যা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ ধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য প্রযোজ্য। এই আইনের ধারা -১৩ এর অধীনে, বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য নিম্নলিখিত কারণ থাকতে পারে:

ব্যভিচার

স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ যদি অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে তা ডিভোর্সের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

রূপান্তর (ধর্মান্তর)

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন অন্য ধর্ম গ্রহণ করলে।

অশান্ত মন

স্বামী/স্ত্রীর মধ্যে কেউই দুরারোগ্য মানসিক অবস্থা এবং উন্মাদনায় ভুগছেন এবং তাদের পক্ষে একে অপরের সাথে বসবাস করা অসম্ভব।

বিয়ের বাইরে শারীরক সম্পর্ক

যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ বিবাহ বহির্ভূত কারো সাথে সহবাস করে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে এর ভিত্তিতেও বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করা যাবে।

নিষ্ঠুরতা

যদি স্বামী বা স্ত্রী তার সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক, যৌন বা মানসিকভাবে নির্যাতিত হন, তাহলে তা নিষ্ঠুরতার অধীনে বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

পরিত্যাগ

যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ তার সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যায় এবং বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করার আগে তারা একটানা দুই বছর ধরে আলাদাভাবে বসবাস করে থাকে।

এ ছাড়া আইনের ধারা-১৩বি-এর অধীনে পারস্পরিক সম্মতিকে বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৯৫৪ (বিশেষ বিবাহ আইন, ১৯৫৪) এর ধারা-২৭-এ আইনগতভাবে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তার সিদ্ধান্তে বলেছে যে যে সমস্ত ক্ষেত্রে বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে অব্যবহারযোগ্য, আবেগগতভাবে মৃত অর্থাৎ যেখানে উন্নতির কোন সম্ভাবনা নেই এবং সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে, সেগুলিকে বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই ধরনের বৈবাহিক সম্পর্ক নিষ্ফল হয়ে যায় এবং তাদের ধারাবাহিকতা উভয় পক্ষকে মানসিক হয়রানি দেয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
Bangla News : সুকান্তকে বাধা, বেলডাঙা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি | Asianet News Bangla