যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নিজের পাশাপাশি অন্যের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হয়। শুধুমাত্র নিজেদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিলে সম্পর্ক যে কোনও সময়ই ভেঙে যেতে পারে।
আমাদের চাহিদা অনেক সময়ই আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের বিশ্বাঘাতক করতে শেখায়। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নিজের পাশাপাশি অন্যের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হয়। শুধুমাত্র নিজেদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিলে সম্পর্ক যে কোনও সময়ই ভেঙে যেতে পারে। বর্তমানে অনেকেই মনে করেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ধারণাটিকে অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করি যে একটি সম্পর্ক তৈরি করা = নিজেদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা একই ব্যাপার। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ত্যাগ গুরুত্বপূর্ণ।
যে কোনও সম্পর্ক ধরে রাখতে পারলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল-
১. নিজেদের খুশি থাকার পাশাপাশি সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যদেরও খুশি রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়ই আমদের নিজস্ব মানসিক শান্তি ও মূল্যবোধ প্রয়োজনীয়।
২. যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে সীমানা নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে কোনও সম্পর্ক তখনই নিরাপদ আর স্বাস্থ্যকর থাকে তা যখন একটি সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। প্রত্যেক ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট পরিসর থাকা জরুরি।
৩. যে কোনও সম্পর্কের মূল শর্তই হল প্রতিশ্রুতি পুরণ। তাই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে সর্বদাই মনে রাখা জরুরি সেই প্রতিশ্রুতি পুরণ আপনি করতে পারবেন কিনা। কারণ প্রতিশ্রুতি পুরণ না করলে যে কোনও সম্পর্ক যে কোনও সময় ভেঙে যেতে পারে।
৪. যে কোনও সম্পর্কেই ক্ষমা জরুরি। কিন্তু অত্যাধিক ক্ষমা প্রার্থনা করাও সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। অত্যাধিক ক্ষমা প্রার্থনা করা যে কোনও ব্যক্তির চারিত্রিক ত্রুটি হিসেবে ধরে নেওয়া সোজা ব্যাপার। তাই অনেক সময়ে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।
৫. আপনি কী ভাবছেন সেটার ওপর গুরুত্ব দিন। তবে আপনার সম্পর্কে লোকে কি ভাবছে তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয়। আর সেই কারণে আপনি আপনার মতই থাকুন। নিজের মত চলুন। নিজের মতামতকে গুরুত্ব দিন। তাতে সম্পর্ক অনেকভাবে আর দৃঢ়় হয়।