সিচুয়েশনশিপ অতীত, ২০২৫ সালে সিঙ্গলদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় হতে চলেছে 'ন্যানোশিপ'

বর্তমান সময়ে সম্পর্কের ধরন এত দ্রুত বদলে যাচ্ছে, তাল রাখা কঠিন। তরুণ প্রজন্মের মতি-গতি বোঝা সহজ নয়। রিলেশনশিপ অনেকদিন আগেই বদলে গিয়েছে। এমনকী, সিচুয়েশনশিপ, টেক্সটেশনশিপসও এখন পুরনো হয়ে গিয়েছে। ২০২৫ সালে নতুন সম্পর্কের ধরন হতে চলেছে 'ন্যানোশিপ'।

সারা বিশ্বে রোম্যান্সের ক্ষেত্রে এখন সরকারিভাবে নতুন ধরন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে 'ন্যানোশিপ'।

সমীক্ষা বলছে, সারা বিশ্বে কোটি কোটি তরুণ-যুবক একাকীত্বে ভুগছে। তাদের কাছে সামান্য সময়ের আনন্দও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটাই বিশেষজ্ঞদের ভাষায় 'ন্যানোশিপ'।

কোনও ক্লাবে বা বিয়েবাড়িতে কারও সঙ্গে দেখা হল। তারপর সামান্য সময়ের জন্য কথা হল, হাসি বিনিময়, মুগ্ধ চাহনি দেখা গেল। তারপর যে যার মতো বাড়ির পথ ধরলেন। এই সামান্য সময়ের জন্য যে আনন্দ পাওয়া গেল, সেটাকেই বলা হচ্ছে 'ন্যানোশিপ'।

সামান্য সময়ের কথোপকথন, হাসি-ঠাট্টার মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেওয়ার নামই 'ন্যানোশিপ'। সম্পর্কের এই ধরন নতুন নয়। অতীতেও এই ধরনের মুহর্ত থেকে আনন্দ খুঁজে নিতেন তরুণ-যুবকরা। তবে বর্তমান সময়ে পার্থক্য একটাই, এখন আবেগপ্রবণ বা দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের কথা কেউ ভাবছেন না।

ধরুন, কোনও শপিং মলে বা মেট্রো স্টেশনে এসক্যালেটরে উপরের দিকে যাচ্ছেন। পাশের এসক্যালেটর দিয়ে এক সুবেশা তরুণী বা যুবতী নীচের দিকে যাচ্ছেন। পরস্পরের দিকে তাকালেন, উভয়ের চোখেই মুগ্ধতা। সামান্য সময়ের এই সম্পর্কের নাম 'আইকন্ট্যাক্টশিপ'।

কয়েক দশক আগে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ছিল পেন-ফ্রেন্ড। হয়তো কলকাতার কোনও তরুণ জার্মানির কোনও তরুণীকে চিঠি লিখে মনে কথা জানাতেন। পাল্টা জার্মান তরুণীও চিঠি দিতেন। তারপর যখন তরুণ-তরুণীদের হাতে মোবাইল ফোন এল, তখন নিয়মিত টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হল। এক্ষেত্রেও হয়তো কোনওদিন কেউ কাউকে দেখেননি। কিন্তু মেসেজের মাধ্যমে কথা হত।

বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের হাতে সময় কম। বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীই ধৈর্য ধরতে রাজি নন। এই কারণে সামান্য সময়ের জন্য একসঙ্গে কফি খাওয়া, পার্টিতে অল্প সময়ের জন্য আনন্দ করা, ডেটিং অ্যাপে চ্যাট থেকে তাঁরা আনন্দ পেতে চান। এটাই হল 'ন্যানোশিপ'।