দাম্পত্যে থেকেও 'সিঙ্গল'-দম্পতিরা বেছে নিচ্ছেন সেপারেশন ম্যারেজ-এর পথ, কেন?

Published : Oct 01, 2023, 09:27 PM IST
couple

সংক্ষিপ্ত

এভাবে দুজনেই টেনশন মুক্ত। দাম্পত্য জীবনে প্রতিদিনই যে সব ধরনের সমস্যা হয় তাদের মোকাবিলা করতে হয় না। ফলে সম্পর্কে উষ্ণতা বজায় থাকে বছরের পর বছর।

'আমার স্বামী বাড়িতে থাকলে, আমি কিছু কিছু খোলাখুলি করতে পারি না...' জাপানের হিরোমি তাকেদা তার সাম্প্রতিক বিয়ে সম্পর্কে এই কথাই মনে করেন। আসলে, জাপানে আজকাল 'বিচ্ছেদ বিবাহ' প্রচলিত। ছেলে মেয়ে স্বামী-স্ত্রী হলেও তারা আলাদা আলাদা জীবন যাপন করে। এতে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকেন না, তবে সপ্তাহে মাত্র দু-তিনবার দেখা করেন, বাকি দিন তারা তাদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনকে কেন্দ্র করে দিন কাটান। বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে বিচ্ছেদ বিবাহ বা সেপারেশন ম্যারেজের চাহিদা।

হিরোমি তাকেদা একজন ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং জিম ম্যানেজার, যিনি সম্প্রতি একজন ব্যবসায়িক উপদেষ্টা হিডেকাজুকে বিয়ে করেছেন। উভয়ের পেশা এবং জীবন সম্পূর্ণ ভিন্ন। যদিও হিরোমি একটি ফিট জীবন এবং উদ্যমী রুটিন যাপন করে, তার স্বামী হিডেকাজু তার বেশিরভাগ সময় কম্পিউটারে ব্যয় করেন।

কিন্তু দুজনের মধ্যে অনেক ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা আছে, তাই দুজনেই একে অপরের জীবনে হস্তক্ষেপ করতে চান না। তাই দুজনেই 'বিচ্ছেদ বিবাহ' করে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মানে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও দুজনেই একে অপরের থেকে আলাদা থাকবেন।

এই বিয়ে থেকে হিরোমি এবং হিদেকাজুরও একটি সন্তান রয়েছে, যে হিরোমির সাথে থাকে। তিনজনই সপ্তাহে মাত্র দুই-তিনবার একসঙ্গে দেখা করেন। বিশেষ করে যখন হিরোমির তার ছেলের যত্ন নেওয়ার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তখনই মিলিত হন তাঁরা। এভাবে দুজনেই টেনশন মুক্ত। দাম্পত্য জীবনে প্রতিদিনই যে সব ধরনের সমস্যা হয় তাদের মোকাবিলা করতে হয় না। ফলে সম্পর্কে উষ্ণতা বজায় থাকে বছরের পর বছর।

তবে তাদের প্রতিবেশীরা মনে করেন, তারা দুজনই ডিভোর্স নিয়ে আলাদা থাকেন। কিন্তু আসলে তা নয়। দুজনেই মনে করেন, বিয়ের পর একে অপরের সঙ্গে না থাকলেও সুখে থাকলে সব ঠিক হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশীরা কী ভাবছে এবং কেন তারা এমন ভাবছে তা তাদের কাছে কিছু যায় আসে না।

PREV
click me!

Recommended Stories

ব্রেকআপের পরে কী করবেন, এই কাজগুলো করলে পুরোনো প্রেম ভুলে যাবেন
পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ হলেও লিভ-ইন করা যাবে ১৮ থেকে, বড় পর্যবেক্ষণ রাজস্থান হাইকোর্টের