৫০ বছর পূর্ণ করার আগেই বহু মহিলাদের যৌন ইচ্ছায় ভাঁটা পড়ে যায়। সাধারণত ৪০ পেরোলেই শরীর আর সায় দিতে চায় না। এমন হওয়ার কারণ কী?
সম্পর্কের শুরুতে মহিলাদের যে পরিমাণ যৌন উত্তেজনা থাকে, সম্পর্কের মাঝামাঝিতে সেই উত্তেজনা আর অব্যাহত থাকে না অধিকাংশেরই। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনের বড় পরিবর্তনের সঙ্গে জুড়ে থাকে যৌন চাহিদা। মহিলাদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তনগুলি অধিকতর প্রকট। যেমন, গর্ভাবস্থা, মেনোপজ বা অন্যান্য অসুস্থতা। মেজাজজনিত ব্যাধিগুলির জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধও মহিলাদের মধ্যে সেক্স ড্রাইভ কম করিয়ে দেওয়ার কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে গেলেই মহিলারা যৌন উষ্ণতার অভাব বোধ করেন। অর্থাৎ, ৫০ বছর পূর্ণ করার আগেই বহু মহিলাদের যৌন ইচ্ছায় ভাটা পড়ে যায়। সাধারণত ৪০ পেরোলেই শরীর আর সায় দিতে চায় না। এমন হওয়ার কারণ কী?
-
চিকিৎসকদের কথায়, ৪০ বছরের পর থেকে মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। মহিলাদের শরীরে এই হরমোনই যৌন চাহিদা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই হরমোনের আধিক্য শরীর থেকে কমে যাওয়ার কারণেই যৌন চাহিদায় ভাটা পড়ে যায়। তবে এটা অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। যুগ যুগ ধরে সমস্ত নারীরাই এই পরিবর্তনের সঙ্গে পরিচিত।
তবে, শুধুমাত্র হরমোনের প্রভাব নয়। আধুনিক কালের দৌড়ঝাঁপ, অতি ব্যস্ত জীবনযাপন এবং কাজের প্রচণ্ড চাপ-ও মহিলাদের যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দেওয়ার জন্য কিছুটা দায়ী। সারাদিন ধরে প্রচণ্ড পরিশ্রমের কাজ করে, বাড়িঘর এবং অফিস অথবা সন্তানকে সামলানোর দায়িত্ব পালন করে দিনের শেষে তাঁরা ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। ফলত, ধীরে ধীরে নারীদের যৌন চাহিদা শেষ হওয়ার বয়স আরও কমে আসছে বলে দেখা গেছে।
-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, আমাদের শরীর যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুম পায়, তাহলে, সেই ক্ষতিকর প্রভাবও যৌন চাহিদাকে নষ্ট করে দিতে পারে। অপর্যাপ্ত ঘুম ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের ওপর প্রভাব ফেলে। এছাড়াও মহিলাদের চল্লিশের কাছাকাছি বয়েসে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। এর দরুন ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোন কমে যায়। এটাও যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার একটি মূল কারণ।