কপালে টিপ ছাড়া কোনো ভারতীয় পোশাক সম্পূর্ণ হয় না। টিপ অবশ্যই একটি স্টাইল স্টেটমেন্ট হিসেবে কাজ করে।
হিন্দু ধর্মে (Hinduism) অনেক ঐতিহ্য (many traditions) প্রচলিত আছে। এর মধ্যে রয়েছে হাত জোড় করে অভিবাদন (blessings) করা থেকে পা স্পর্শ (touching feet) করে আশীর্বাদ নেওয়া পর্যন্ত। এর মধ্যে টিপ বা তিলক পরাও রয়েছে (applying bindi or tilak)। টিপ বা তিলক হিন্দু সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অঙ্গ। কপালে টিপ ছাড়া কোনো ভারতীয় পোশাক সম্পূর্ণ হয় না। টিপ অবশ্যই একটি স্টাইল স্টেটমেন্ট হিসেবে কাজ করে।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই টিপ পরার পিছনে শুধু ধর্মীয় নয় বৈজ্ঞানিক তথ্যও লুকিয়ে আছে। আসুন জেনে নিই টিপ বা তিলক লাগানোর উপকারিতা সম্পর্কে।
মন শান্ত করে
ভ্রুর মাঝখানের যে বিন্দুতে আমরা টিপ পরি, সেখানে প্রতিদিন ম্যাসাজ করতে হবে। এটি এই এলাকায় পেশী এবং স্নায়ু শিথিল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরে একটি শান্ত প্রভাব ফেলে। এটি সেই বিন্দু যা আপনি অবচেতনভাবে দমন করেন যখন আপনি মানসিক চাপ অনুভব করেন। তাই শান্ত থাকতে এবং মনকে আরও মনোযোগী রাখতে প্রতিদিন একটি টিপ পরুন।
মাথাব্যথা উপশম করে
আমাদের কপালে একটি নির্দিষ্ট বিন্দু আছে যেখানে টিপ পরতে হবে। অ্যাকুপ্রেসারের নীতি অনুসারে, এই পয়েন্টটি আমাদের মাথা ব্যথা থেকে তাত্ক্ষণিক উপশম দেয়। এর কারণ স্নায়ু এবং রক্তনালীর মিলন রয়েছে। এই পয়েন্ট ম্যাসাজ করা হলে, আমরা তাত্ক্ষণিক আরাম পেতে পারি।
সাইনাসের সমস্যা ঠিক থাকে
কপালের মাঝে বিন্দুটি ট্রাইজেমিনাল নার্ভের উপর চাপ দেয়। এটি নাক এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে উত্তেজিত করে। যখন উদ্দীপিত হয়, এই স্নায়ুগুলি অনুনাসিক প্যাসেজে, নাকের মিউকোসাল আস্তরণ এবং সাইনাসে রক্ত প্রবাহকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। এটি সাইনাস এবং নাকের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে এবং বন্ধ নাকে স্বস্তি দেয়। এর পাশাপাশি এটি সাইনোসাইটিস উপশমেও সাহায্য করে।
ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে
ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে সিঁদুর/টিপ। শুধু মনকে শান্ত করা নয় এই স্থানে সিঁদুর/টিপ পরতে যে চাপ বা মেসেজ পরে তাতে মুখের শিরা উপশিরা ও পেশি শিথিল হয়। ফলে এটি মানসিক চাপ কমাতে পারে আপনার। প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য এই স্থানে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে ইনসোমনিয়া থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
বলিরেখা কম হয়
টিপ পরলে মুখের পেশি সক্রিয় হয়। এটি মুখের রক্ত সঞ্চালনও বাড়ায়। এটি আপনার মুখের বলিরেখাও কমায়। আসলে, যে জায়গায় টিপ পরা হয়, সেখানে সুপ্রাট্রোচিলার নার্ভ থাকে, যার উপর চাপ দিলে ত্বকের বলিরেখা দূর হয় এবং আমাদের মুখ থাকে তরুণ।