হতে পারত দারুণ আনন্দের দিন। নেহরু-গান্ধীর দূর্গ হিসেবে পরিচিত আমেঠি কেন্দ্রে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ভোটের লড়াইয়ে পরাজিত করেছেন বলে কথা। কিন্তু সেই দারুণ জয়ের পর প্রথমবার স্মৃতি ইরানি আমেঠি-তে আসছেন একরাশ মনখারাপ আর ক্ষোভ নিয়ে। শনিবার আমেঠির বারৌলি গ্রামে গভীর রাতে খুন হয়েছেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন গ্রাম প্রধান সুরেন্দ্র সিং। এই দুঃসময়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী সুরেন্দ্র পরিবারের পাশে থাকতে চান।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিভিন্ন প্রয়োজনে দিল্লিতেই ছিলেন স্মৃতি ইরানি। এদিন সকালে সুরেন্দ্র সিং-এর হত্যার খবর পেয়েই একটি গাড়ি নিয়ে তিনি আমেঠির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
শনিবার গভীর রাতে আমেঠিতে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলি করে হত্যা করে বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র সিংকে। স্মৃতি ইরানির ঘনিষ্ঠ এই নেতা, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ আমেঠিতে বিজেপির জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। বারৌলি গ্রামে নিজের বাড়ির উঠোনেই শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন সুরেন্দ্র সিং। ঘুমের মধ্যেই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। তারপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। লখনউ-এর ট্রমা সেন্টারে নিয়ে আসা হলে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুরেন্দ্র।
এদিকে নিহত বিজেপি নেতার পুত্রের দাবি, তাঁর বাবা গত কয়েক মাস নাগারে স্মৃতি ইরানির হয়ে প্রচার করেছিলেন। স্মৃতির দুর্দান্ত জর পর গ্রামে মিস্টি বিলিয়েছিলেন, বি মিছিল বের করেছিলেন। সেই কারণেই কংগ্রেস সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন তিনি। আর সেই কারণেই খুন হতে হয়েছে তাঁর বাবাকে। এমনটাই দাবি করেছেনসুরেন্দ সিং-এর ছেলে। পুলিশের মনে সন্দেহ থাকলেও সুরেন্দ্রর পরিবারের স্পষ্ট অভিযোগ এটি রাজনৈতিক খুন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন দ্রুতগতিতে তদন্ত চলছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূ্র এসেছে পুলিশের হাতে। ইতিমধ্যেই ৭ জন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে এলাকায় অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মজুত রয়েছে গ্রামে।