করোনা আতঙ্কে প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তারদের, আইএমএ-কে অনুরোধ স্বাস্থ্য দফতরের

  • এখনই প্রাইভেট চেম্বার খুলতে চাইছেন না চিকিৎসকরা
  •  করোনা আতঙ্ক গ্রাস করে আছে সকলকেই
  •   রোগীদের কারও করোনা থাকলে কী হবে
  • এই ভেবেই তালা ঝুলেছে প্রাইভেট প্যাকটিসে 

অনুরোধ সত্ত্বেও নানান কারণে এখনই প্রাইভেট চেম্বার খুলতে চাইছেন না মেদিনীপুরের চিকিৎসকরা। করোনা আতঙ্ক গ্রাস করে আছে সকলকেই। কেউ কেউ যেমন নিজের এবং পরিবারের কথা ভাবছেন পাশাপাশি আবার অন্যান্য রোগীদের কথাও ভাবছেন। চেম্বারে ভিড় হলে যদি কোনও একজনের শরীরে করোনা রোগ থাকে তাহলে তার থেকে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়তে পারে অন্যান্য রোগীদের মধ্যেও।

প্রাইভেট ডাক্তারবাবুদের চেম্বার খুলতে আইএমএ-কে অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত রাজ্য সরকারের নোডাল অফিসারও। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় প্রাইভেট চেম্বার খোলা রাখতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন অনেকে ডাক্তারই। আইএমএর জেলা সম্পাদক ডাঃ কৃপাসিন্ধু গাঁতাইত বলেছেন, মেদিনীপুর শহরে বেশিরভাগ ডাক্তারবাবুই নিজের বাড়িতে চেম্বার করেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই ষাটোর্ধ। তার উপর সুরক্ষা নিয়েও অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আছে। প্রয়োজনীয় পিপিই কিট পাচ্ছেন না প্রাইভেট প্রাকটিসের সঙ্গে যুক্ত থাকা ডাক্তারবাবুরা। তা সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করে বিশেষভাবে যাদের বয়স ষাটের নীচে সেইসব ডাক্তারবাবুকে অনুরোধ করেছেন নিজেদের চেম্বার খোলা রেখে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য।

Latest Videos

মেদিনীপুর শহরে প্রায় ২০০ ডাক্তারবাবু প্রাইভেট প্র্য়াকটিস করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশেরই চেম্বার হচ্ছে তাদের নিজের বাড়িতে। প্রবীণ অর্থোপেডিক সার্জেন ডাঃ গোলক মাজী বলেছেন, আমার বয়স ৭২ বছর। রোগী দেখতে হলে তার কাছাকাছি যেতেই হবে। অথচ সরকারি গাইডলাইনই হচ্ছে করোনা নিয়ে সবথেকে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বয়স্কদেরই। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। করোনাবিধি মেনে তাই সবাইকেই জানিয়ে দিয়েছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চেম্বার বন্ধ থাকবে। আবার প্রখ্যাত সার্জেন ডাঃ টি কে বিশ্বাসও জানিয়ে দিয়েছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রাখাটাই শ্রেয়। 

তার কথায় চেম্বার খুললেই অপেক্ষারত রোগীদের ভিড় সামাল দেওয়া কঠিন। প্রয়োজনীয় পিপিই কিট পাওয়া যাচ্ছে না। চেম্বারে ভিড় বেশি হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে তিনি পুরোনো রোগীদের জন্য দৈনিক তিন ঘন্টা সময় দিয়ে রোগীও দেখছেন একটি নার্সিংহোমে। অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছেন। তাদের দেখাটা দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে। কিছু নতুন রোগীও চলে আসছে। অপরদিকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ টি পি ঘোষ বলেছেন, চেম্বার খুললেই ওয়েটিং রুমে রোগীর ভিড় হবে। শিশু সহ তার বাবা মাকে তো আর বাইরে রোদে অপেক্ষা করতে বলা যায় না। 

তাই চেম্বার বন্ধ রেখে জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে আসতে বলেছি। তা সত্ত্বেও অনেকে চলে আসেন বা হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাতায়াতের পথেও দেখা করেন। তাদের দেখে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নিতে বলে দিই। তাছাড়া দূর দূরান্তের পুরোনো রোগীদের উপসর্গ শুনে ফোনেই অনেকসময় প্রেসক্রাইব করে দিই। এভাবেই চলছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা বলেছেন, ডাক্তারবাবুদের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকায় বহু রোগী সমস্যায় পড়েছেন। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা সকলেই সংকটে। তাই আইএমএর মাধ্যমে ডাক্তারবাবুদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন নিজেদের প্রাইভেট চেম্বার খোলার ব্যবস্থা করেন। সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে স্বাস্থ্য দফতর।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?
আজ রাজ্যে উপনির্বাচনের (By Election) রেজাল্ট আউট, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা (Vote Counting)
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
Suvendu Adhikari Live: বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি