রাজ্য়ের শর্তে বাস নামালে লোকসান, ক্ষতির আশঙ্কায় উল্টো পথে বেসরকারি বাস মালিকরা

  • গ্রিন জোনে বাস চালানোর শর্তসাপেক্ষে অনুমতি
  •  তা সত্ত্বেও সরকারের শর্তে বাস চালানোর আগ্রহ নেই
  • লকডাউনে বাস নামাতে নারাজ বেসরকারি বাস মালিকরা
  •  

Asianet News Bangla | Published : Apr 30, 2020 5:35 PM IST / Updated: Apr 30 2020, 11:06 PM IST


গ্রিন জোনে বাস চালানোর শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পেয়েছেন বাস মালিকরা। তা সত্ত্বেও সরকারের শর্তে বাস চালানোর কোনও আগ্রহ নেই বেসরকারি বাস মালিকদের। শর্তাধীন বাস চালালে তাতে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না বলেই মনে করছেন তারা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশের জেলা ঝাড়গ্রাম গ্রিন জোনে থাকলেও পশ্চিম মেদিনীপুর এখনও অরেঞ্জ জোনে আছে। এই জেলাকে গ্রিন জোনে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। নতুন করে কোনও করোনা রোগী পাওয়া না গেলে খুব শীঘ্রই হয়তো গ্রিন জোনে পৌঁছে যাবে পশ্চিম মেদিনীপুর। তা সত্বেও যাত্রীবাহী বাস চালানোর ঝুঁকি নিতে নারাজ বাস মালিকরা। জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেছেন, গ্রিন জোনভুক্ত জেলাগুলিতে শুধুমাত্র জেলার মধ্যেই বাস চালানোর অনুমতি মিলেছে। 

তার উপর সরকারি শর্ত অনুযায়ী ২০ জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। সরকারি শর্তে বাস নামালে আমরা হিসেব করেছি -রোজ কমপক্ষে দু হাজার টাকার বেশি লোকসান হবে ৷ এতে করে কোনওমতেই বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়। তাই ঝাড়গ্রাম জেলায় বাস চলাচল করে এমন যেসব মালিক এজেলায় বসবাস করেন তারাও বাস রাস্তায় নামাবেন না বলেই সংগঠনকে জানিয়ে দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, যে পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে প্রায় আটশো বেসরকারী বাস চলে। যার মধ্যে প্রায় ৩০০ বাস আন্তঃজেলা যাতায়াত করে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও কলকাতা জুড়ে নানান রুট আছে। আন্তঃজেলা বাস চলাচলের এখনও ছাড়পত্র দেয়নি রাজ্য সরকার। মৃগাঙ্কবাবু ইতিমধ্যে তার সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগও করেছিলেন। তার কথায়, কোনও মালিকই এধরনের শর্তে বাস রাস্তায় নামাতে চাইছেন না। 

এভাবে গাড়ি চালালে সারাদিনের খরচও উঠবে কিনা সন্দেহ। তার উপর প্রতিটি বাসমালিকই ব্যাঙ্ক ঋন নিয়ে বাস নামিয়েছেন। তারা ঋণের কিস্তিও দিতে পারবেন না। তার দাবি লকডাউনের জেরে সবথেকে বেশী মার খেয়েছে পরিবহন শিল্প। অবিলম্বে সরকারের উচিত পরিবহন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা। তা না হলে পথে বসবেন পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। ফলে সরকার গ্রিন জোনে শর্তসাপেক্ষে বাস চালানোর অনুমতি দিলেও রাস্তায় কেবলমাত্র সরকারি বাস

Share this article
click me!