পাশের জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে হাতির দল, ফসল বাঁচাতে হাতে মশাল নিয়ে রাত পাহারায় জঙ্গল লাগোয়া চাষিরা

  • গ্রামের পাশের জঙ্গলে আস্তানা গেড়েছে হাতির পাল
  • জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নষ্ট করছে জমির ফসল
  • ফসল বাঁচাতে রাত পাহারায় জঙ্গল লাগোয়া চাষিরা
  • হাতি তাড়ানোয় সতর্কবার্তা দিয়েছে বনদফতর

Alok Shit | Published : Sep 13, 2020 4:33 PM IST

শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-হাতির আতঙ্কে ঘুম কেড়েছে গ্রামবাসীরা। মাঝরাতে গ্রামে ঢুকে এই বুঝি তাণ্ডব চালাবে হাতির দল। নষ্ট করবে জমির ফসল। কেননা, গ্রামের পাশের জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে হাতির পাল। যে কোনও সময় জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে। তাই রাতের অন্ধকারে জমির ফসল বাঁচাতে রাত পাহারায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর সদর ব্লক এলাকার। জমির ফসল বাঁচাতে না ঘুমিয়ে রাত পাহারা দিয়ে চলেছেন গ্রামবাসীরা। প্রতিদিন গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্য়ে দল ভাগ করে মশাল হাতে হাতির তাণ্ডব থেকে বাঁচতে পাহারা দিচ্ছেন। চাঁদড়া, পিড়াকাটা, গোয়ালতোড় সহ জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে এখন এই ছবি।

বন দফতর সূত্রে খবর, মেদিনীপুর সদর ব্লকে দলমা থেকে আসা ১২টি হাতির একটি দল এলাকার জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। চাঁদড়া রেঞ্জের ললিতাশোলের জঙ্গলে রয়েছে হাতিগুলি। অন্যদিকে, শালবনীর আড়াবাড়ি রেঞ্চের জোড়াকুশমীতেও রয়েছে প্রায় ২৫টি হাতি। সেকারনে হাতির আতঙ্কে দিন কাটছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের।

গ্রামবাসীদের দাবি, হাতির পাল খাবারেরে খোঁজে মাঝে মধ্য়েই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামের জমির ফসল কিংবা ঘরবাড়িতে হানা দেয়। তার ফলে জমিতে রোয়া ধান নষ্ট করে ফেলে। ঘরের ভিতর ঢুকেও তাণ্ডব চালায় হাতিরা। বন দফতরের কাছে বিষয়টি নতুন নয়। এই অবস্থায় নিজেরাই তাঁদের ফসল বাঁচাতে রাত পাহারার উদ্য়োগ নিয়েছেন। যদিও, গ্রামবাসীদের সতর্কতায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে বনদফতর। নির্দেশিকা জারি করে বন দফতর জানিয়েছে কি করবেন আর কী করবেন না। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন গ্রামে লিফলেট বিলি করে প্রচার করা হয়েছে। 
 

Share this article
click me!